নিমাই জানার সাতটি কবিতা





ঊর্ধ্বমুখী জাইলেম ও সিস্টাইটিস মন্ত্র

দেওয়ালে টাঙানো অর্ধমৃত জাইলেম শরীর গুলো সিস্টাইটিস ফ্যালোপিয়ানের ঊর্ধ্বমুখী দুটো কাটা হাত
মিথুন নিয়ে নেমে আসে তন্দ্রাচ্ছন্ন গভীর জলের ভেতর, আমি তখন সন্ন্যাস
কৃমি কীটেরা একে একে মাথায় বিপুল সম্মোহন মন্ত্র নিয়ে এগিয়ে আসছে পরোক্ষ গর্ভকেশরের দিকে ,
আজ একদল নৈরাশ্যের পরজীবীরা লুডু খেলার আনন্দে মেতে উঠেছে দধীচির হাড় নিয়ে
নক্ষত্রেরা সকলে গভীর রাতকেই দোতারা ভেবে বাজায় প্রাচীন সঙ্গম নিয়মে, সপ্তকে বেঁধে রাখে ভার্জিন সুর হাইপোগ্লাইসেমিয়া
ঢালুপথের প্রতিটি গানের আদিম বনলিপি উৎকীর্ণ থাকে শালগ্ৰাম চৌহদ্দিময় নরপুরুষ মানুষের দেহে
সমভূমির ভঙ্গিল গিরিপথে এসে কেউ কেউ সংক্রমণজনিত পাঞ্জাবিটি তুলে রাখে দোয়াতের কালি মুখে ঝুলতে থাকা বিষধর সাপের দাঁতে ,
শ্যাওলা রঙের দেয়াল আসলে কিছু নয় শুধু এক গালব মহাঋষির নাম
তপোবনে জতুগৃহ জ্বলছে ভূর্জপত্র বসবাস কালে, পিরামিডের পিঠে দাঁড়িয়ে অক্ষাংশের ঘোড়াটি নেচে বেড়াচ্ছে বেগবতী নারীটির মতো
আমি দুটো মেসোপটেমিয়া খুঁজে বেড়াচ্ছি রাতের অন্ধকারে





পরজীবী দূর্বাঘাস ও যৌনগ্রন্থি শাঁখ

কেবল অভুক্ত কথার থেকেও সব পাপ কথা নিজেই ভক্ষণ করে সহস্র যুগ,
কমণ্ডুলের পরজীবীটি দূর্বাঘাসের মতো অঙ্গজ জনন ছিদ্র ফেলে যায় প্রতিটি বাড়ির চৌকাঠে
জোনাকি জানে তার শরীরে পরকীয়া আগুনের একটি সুগন্ধি খনি আছে, প্রতিদিন প্রতিটি পুরুষ আত্মহত্যার স্নানে নেমে গিয়ে দশমিকে হারিয়ে ফেলে তাদের শুক্রাণু, যৌন ঘরে একটি বিষক্রিয়ার রাসায়নিক সংক্রমণ ঘটে যায় মৃত কাঠের মৌলটির মতো
রাতের শেষ প্রহরে বাড়ি ফেরে প্যাঁচানো শাঁখ ভেজানো জল নিয়ে,  পিচ্ছিল ঠোঁটে তাড়িত কামনা কখন কর্মযোগে পরিনত হয়ে গেছে
ঈশ্বর তখন শঙ্খধ্বনি করছেন একা নিজের বুকের উপর শুয়ে
অনন্তের সূক্ষ্মকোণটি এক ত্রিভঙ্গ মুরারীর মতো কালিয়া দমনে নিজের জিভ কেটে খায় সাপ
প্রাণহীন শরীর যুগলকে তুলে নিয়ে যায় আরও গভীর অভয়নগর প্যারাসিটামল জনিত উপসর্গের দিকে,
ঠোঁট ও জিভে বিষাদের অভয়ারণ্যে খেলে বেড়ায় ল্যাটেরাইট কালো রঙের সাপ
আমরা এতো গভীর অসুখে ভুগিনি কোনদিন,  সাদা রঙের টাইফি রোগাক্রান্ত মানুষেরা ফেলে যাবে তাদের নৈমিত্তিক জীবনের প্রাচীন খেলাঘর
সঙ্গমহীন বিছানার চাদর ও বিনিদ্র অঙ্গানুরা জিভের স্বাদহীন মরুভূমির ওপর-নিচে বেড়াবে প্রাচীন সংক্রমনের মাথার উপর
আমার দাঁত ও জিভ  পরস্পর সমকোণে থাকে না




হাফ হাতা ব্লাউজ ও তিন ব্রহ্মের চাঁদ

আমাদের মাথায় একটি তেতো রঙের ঔষধি বৃক্ষের মূলরোম নারীরা ভেসে বেড়াবে প্রতিদিন গায়ে হাফ হাতা ব্লাউজ হয়ে
প্রায় একযুগ পরেও যিনি আসেন আমি মজা করি তার সাথে বৈষ্ণো চিহ্ন ও চৈতন্যের পারোলৌকিক স্থান হিসেবে
এই  জলাশয়ের পাশে দাঁড়ালে নিজের মুখখানিতে প্রাচীন পরশুরাম ভেসে ওঠে নৌকার ভেজা শরীর নিয়ে, এই জনপদে দাঁড়িয়ে কালো বর্ণের ইউলিসিস চন্দ্রাকার খনিজগুলো মেলে দেবে দেবতাদের সহবাস কালের বিছানায়,
লোমশ পোশাকেই চন্দ্রাকার পুরুষেরা ধ্বনিত করে নিজেদের বাকল মোচনের ইতিহাস
নৈমিত্তিক স্নানের পর কেউ রাত্রির গোপন অসুখ নিয়ে  অলৌকিক কবিতার জন্ম দেবে বৈধব্য বৃক্ষের তলায়,
আমাদের বাঁশি তিনটি বৈতরণী ঘাটের ত্রৈরাশিক গণিত সমাধান করছে একাদশ সন্তানের ব্রহ্ম চূড়ায় দাঁড়িয়ে
অ্যাডিপোজ টিস্যুর নিচে প্রবাল প্রাচীরের সংগঠিত চাঁদ আমাকে বৃত্তাকার বন্ধনে আবদ্ধ করে গেছে সহস্রকালের মানবীর পাঁজরে আমিও এক আগুনের পরকীয়া শিখেছি প্রতিটি ত্রিকোণমিতির পৃষ্ঠাতে





ঈশ্বরী ও উপবৃত্তাকার ঠোঁট গুলো

ঈশ্বরী আমাদের বিনীত চৌবাচ্চার কাছে এসে দাঁড়িয়ে দেখাবে নিজেদের অসদ প্রতিবিম্ব
আমার চোখের উপবৃত্তাকার লেন্সের ভেতর অঙ্কুশেরা দৌড়ে যাচ্ছে রাধাবল্লব হয়ে , আমি সুদামার ঠোঁটের পাখি হতে চাই লিউকোরিয়া রং মেখে
আমার পিছনে ক্রমাগত উর্ধ্বক্রমে সাজিয়ে যাচ্ছে গাণিতিক সংখ্যামালা , আমি সমান্তরাল মরচে জানালার পাল্লা খুলে দিয়ে নিজের ভেতর থাকা দ্বিবিভাজন পুরুষটিকে অনন্তের দিকে উড়িয়েছি পাখির মতো
জানালার বাইরে যে মানুষটি থাকে,  আমি চতুর্ভুজ ঘরের ভেতর বসে দেখি বিপরীত দরজার আ উ ম বর্ণের মানুষ গুলো ছাই রঙের মাছের দেহের ব্যবচ্ছেদ করছে, জাহাজটি চিরকাল মৃত ছিল
গভীর সংক্রমনের কথা ভাবি না কেউ সংক্রামক নারীরা মানসিক আক্রান্ত হওয়ার পর কর্কট লগ্নে সবাই বিষুবীয় চাঁদ ভেঙে খায়
এখানে প্রতিটি বৃক্ষের তলায় অসংখ্য পাথর জমে যাচ্ছে চাঁদের শ্যাওলা মাখা হাতের পরিপূরক ময়ূর হয়ে
স্নেহাতুর তৃণভোজী হয়ে বাড়ির বারান্দায় কত নারীকে উদাস করে গেছে শিউলি ফুলের গাছ
এখানে দাঁড়িয়ে নরম মেহগিনির ডগা কত পুরুষকেই আত্মহত্যার প্ররোচনা দিয়েছে মন খারাপের দিনে, ওভারডোজ অ্যালজোলাম
প্রতিটি পুরুষ মানুষ হতাশার দিনে মহাপুরুষের কথা ভাবে তুলসী পাতার মতো
মৃত্যুকে সবাই সহজলভ্য ভাবে কিন্তু মৃত্যু আসলে বড় মূল্যবান ধাতু কল্পের উদাহরণ





আলতামিরা গুহা ও পরমেশ্বর শরীর

প্রতিটি রোমকূপের পথে বয়ে যায় ঈশ্বরীর চারাগাছের স্রোত
আমি পরমেশ্বরের শরীরে বয়ে যাওয়া গঙ্গার তৃতীয় প্রবাহে দাঁড়িয়ে ভাবি কত দূরে এই মায়াচর সব সঙ্গম কথা মুছে দিতে পারবে পূর্ব জন্মের সব ইতিহাস কথা
অলৌকিক দশমিক চিহ্নেরা পাহাড়ের কর্মযোগী ছায়া রাখে বুকে
কোন পুরুষ মানুষ নিম ফুলের মধু মেখে দিচ্ছেন সারা রাতের গায়ে,
আমি হয়তো বেগম পাহাড়ের নিচে বসা কোন প্রাচীন আলতামিরা গুহা সম্রাটের প্রাচীন পোশাকের তলদেশ থেকে খুঁজে পাবো ক্ষয়প্রাপ্ত জীবাণু সংক্রমিত অন্তর্বাস
আমি প্রিয় পিতৃপুরুষদের পাশে বসে থেকে মোচন করব প্রথম পরিচ্ছদ গণিত, আসলে এখানে সকলেই নিরাকার থাকতেই ভালোবাসে, পরিমিতির উদ্যানে একটি ধ্রুবপদ কত মূল্যবান
আগুন আর কিছু নয় একটি যৌগিক সংখ্যার বৃষ্টি মাখানো অবতল পাঠ,   যে কেবল জ্বরের সময় ভেজা জলপট্টি মাথায় না রেখে প্রেমহীন আগুনকে বিছানার ডান পাশে শুইয়ে রাখে প্রজাপতি ভেবে
একটি অসুখ পুরুষ থেকে হিমোগ্লোবিন মাখা পরীরা হাঁটতে-হাঁটতে মিলিয়ে যাচ্ছে প্রাচীন পর্বমধ্যহীন বৃক্ষের বাকলের তলায়
আমরা সকলেই মানত করেছি অনন্ত সন্তানের জন্ম
প্রতিটি গণিতে শূণ্য একটা কক্সিসের উদাহরণ




জ্ঞানশূন্য মাঠ ও জটিল বিভাজিকা দরোজা

আমাদের শরীরের ককসিস ফেলে ইন্টেসটাইনের দিকে ঢুকে যাবে আমাদের নরম হাত
স্তনবৃন্তের সব আগুন বিভাজিকায় থেমে আছে সিন্ধু উপত্যকা,  পাঞ্জাবি পরা উচিৎ পুরের মানুষেরা বৈশ্বানর পর্বের গান থেকে নেমে যাবে জটিল যুক্তাক্ষর রেখে
আমি বেগম বাহার অথবা বেলপাতার নিচে থাকা ব্যক্তিকে পান্থপাদপের পাতায় রেখে আমি ও জ্ঞানশুন্য হয়ে যাই
নরম কুঁড়ে ঘরের মানুষেরা আদিম বনজ সভ্যতায় সকলেই নিরাভরণ গতিপথের দিকে ফেলে রাখে অলৌকিক স্যাপিয়েন্স ও হিমোফিলিক আর্কটিকটার্ন
সকলে পরান যাত্রীর মতো রঙ্গন ফুল ছড়িয়ে রাখে সমাধি ক্ষেত্রের উপর
একটি বাড়ির জানালার পাশ দিয়ে উঁকি দেয় মৃত্যুমুখ আওয়াজ ষড়ভুজের মতো সব গিরিপথের মুখে দাঁড়িয়ে নারীরা ফেলে তাদের রক্তিম কঙ্কাল
এখানে কৃষ্ণচূড়াকে আলিঙ্গন করবো সকলের বিনীত প্রাচীন সংক্রমনের উপসর্গ দিয়ে
রাস্তা আর পাগল পরস্পর সরল অনুপাতে চারা গাছ লাগায়




একটি পাতাবাহার ফুল অথবা রাস পূর্ণিমা তিথি

হলদে রঙের বাউল সিক্রেশন সাইন্যাপস ধারাপাত গুলো ধীরে
ধীরে আমাকেই রোপন করবে কেন্দ্রীয় স্নায়ুর এক বধির পুরোহিত দেহে
আমি পুরোহিতকে মধ্যরাত্রিতে দেখলে পাতাবাহার ফুলের মত দেখায়
প্রাচীন দেবদারুর মতো কবিতা লেখা যায় না এই জরায়ুর অন্ধকারে বসে
কবিতারও একদিন আত্মহত্যার কথা উঠেছিল বিনীত অস্ত্রাগারের কাছে দাঁড়িয়ে
দ্বারকা নগরির পাশে সুলভ ফল দোকানটি হিমোগ্লোবিনের উৎকৃষ্ট খনিজ ক্ষেত্র হয়ে ঝুলে আছে
গোলাকার ঔষধি বৃক্ষের ফল গুলো তুলে নিয়ে বাড়ি ফিরছে ডার্মাটাইটিস একটি রোগী, তার কোন জিভ নেই,  সারা শরীরে আগুনের সংক্রমণ লুকিয়ে আছে আমি তাকে সালফিউরিক খেতে বলেছিলাম
নারীটি এক চতুর্ভুজ আয়না উপহার দিয়ে গেছে রাস পূর্ণিমার শেষ তিথিতে
প্রতিটি অসুখের পেছনে একটি অনাহত সন্ন্যাস দাঁড়িয়ে থাকে চিরদিন

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন