এ্যালেইনা হোসেন-এর কবিতা




শীতযাপন শেষে

বহু শীত পর খোলাসায় অতন্দ্র কচ্ছপ।
সূর্য, সেলসিয়াস চিৎকারে ফাটাবে ফাটাবে
খোলসের বহুমাত্রিক ডিগ্রী!
যে হৃদয়ের খরগোশ হয়েছিলো গুপ্তচর
সবার আগে ধরবে সংবাদ;
লাল প্রেম দড়ির স্ফীত মাজেজা

তার পেছনে, আজ কি করে ছোটা যায়!
এইসব ডিগ্রীজনিত খোলস
গলে গেলেও তো আর হতে পারে না 
সঞ্চিত গ্লোবাল ওয়ার্মিং মাপার পারদ!




ভাতনিঘুম

ভাত চোর বলো বা রাত চোর
ফারাক নাই এক দানা জোনাকিরও

সাদাপোড়া কয়লা টাকার আগুন গরম ভাত
রাত গালায়েই যাচ্ছে দুই পট চাঁদের মাড়

রাতে শাক খাওয়া মায়ের বারণ, চুরি করা নয়
যুক্তি: সবুজ পালং পালং কিছু অন্ধকার পালো

আমি আমিষপ্রেমী, অন্ধকার শাকে ঢেকে দেবো মৎসকুমার!

(ভা)ত ছিটাচ্ছে কে চিনিগুড়া চকচক? মনুষ্যমুখহীন (রা)তগুহার ঘা ওয়ালা হা...
খুঁইজো না ফারাক, ভা....রা....ক্রান্ত হচ্ছে আলাদিনের জীববিজ্ঞান পাতা




বলয়গ্রাস ২৩

প্রিয়তমা অন্ধকার 
নিজেই শুধু কেঁদে যাচ্ছো, আমায় কেনো কাঁদাচ্ছো না? নিজের আঁধার মহিমায় এতোটাও স্বার্থপর হয়ো না। আমিও তো জানি কালোর মহিমা, আদতে কালো রঙ ছাড়া আমাকে কেউ প্রেম দেয়নি। কোনো মানুষই আমার শ্যামা চর্মের নিচে রাখা ক্ষততে কালো রঙের মতোন শুশ্রূষা ছায়া ফেলেনি। 

চলো না তিমিরতমা, বুকে পাথরগুলিকে লাফিয়ে নাচি সাওতাল নাচ!
কালোতম রক্তক্ষরণে বাজাই ঘুঙুর। লিথিয়ামের গন্ধে ভরা তোমার বুকে আত্মহত্যা বিসর্জন দিচ্ছি, শরীকী কান্নায় ঘুমোবো বলে জড়ায়ু জড়িত ঘুম। 
প্রতিশ্রুতি দাও কৃষ্ণ রাগিনী! এমন জেহাদে একই সাথে হবো ধারালো জাতিস্মর...





Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন