সুপর্ণা 'লিলিথ' দাস





ড্রোন

আমি যাইনি কোথাও, যাবনা, যেতে পারবও না।
গেলেই ড্রোনটা ঘুরে বেড়াবে -
মাথার উপর থেকে চুম্বক দিয়ে
পুতুলনাচ নাচাবে।
হঠাৎই আমার লৌহ হৃদয় কোমর দুলিয়ে
ডিস্টিংশন পাবে লোকনৃত্য
একখন্ড পাললিক শিলা তুলে নিয়ে
আধমরা নদী চরে বালুতে
আবার লিখব তার নাম, কাটাকুটি খেলব
নামের উপরই চড়ে বসব,
খুব জোর জলো ঢেউ মুছে দেবে নাম
তখন যদিও গ্রীষ্মকাল।
প্রৌঢ় ড্রোনটাও হেসে ওঠবে লজ্জায়।




আসাটা ঐতিহাসিক হলে

এসো, যে মন করে স্বপ্নরা আসে রাতে
চোখের সোফায় পিঠ এলিয়ে
আমায়ও চায়, সোফায়।
এসো, অন্ধকারে বেতসলতা বেয়ে
মায়ান পিরামিডের সমতলে
এখনও পাতা আছে রিফিউজি লতার ঘর,
আরব্য এক কাচের জারে হিংসে রেখে
রাতভর খেয়ে যাব নক্ষত্রের সুধা।
এসো, যেমন করে মেঘমল্লার বৃষ্টি আসে
ভিজিয়ে দিয়ে বিভাজিকা-গলিপথ,
চুলের গোড়ায় গন্ধ জাগায় সোঁদা,
এসো, নদীর জলে কাগজ নৌকা হয়ে
ইউফ্রেটিসের পাড়ে তুলে দেব কীলক লিপির চিঠি-
তোমার-আমার মিলন-মূর্তি স্থান করাব
কাফের মিউজিয়ামে,
গিলগামেশের উপাখ্যানের ব্যাখ্যা শুনব সাথে।
এসো, যেমন করে স্ফিংসের চোখে
পূর্ণিমা রাত আসে,
বেদুইন হয়ে ঘুরব বালুকা পথে
থথ্ দেবতার আশীর্বাদী নিয়ে
মনের মমিতে প্রেমের মন্ত্র লিখে
দেখি সূর্য ঘড়িতে কিছুটা সময় বাকি;
নোয়ার নাওয়েতে টিকিট পাইনি আমি
ঘুমের ঘোরে আবহাওয়া-বার্তা প্রণয় আসবে বলে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন