লক্ষ্মীকান্ত মণ্ডল 






বৃত্ত খেলার ক্ষরণ 

এই দুপুরের পোর্টেটে আলতাজবার গান ভাসতে থাকে 
অপ্রস্তুত ছত্রাকের ভাঁজ দিয়ে দুঃখ আর পাতায় পাতায় 
এক ভয়ার্ত চোখ আর সেদিকে ছেঁড়া কিছু পঙক্তি আর্দ্র 
যদিও আজ বৃষ্টি নেই , ধুয়ে যাবার ভয়ও নেই 
আবারও পর্বগুলোর বাবলা কাঁটার দিকে তাকাই 

ঝিরিঝিরি হাওয়ায় যতটা পাতা উড়ে তারও বেশি উড়ে শাড়ি 
গোড়ালি চুঁইয়ে তৃষ্ণারা খালপাড়ে হেঁটে যায় 
বাসন-কোসনের শব্দ ভেসে আসে সাঁকো থেকে 
তার তলায় সাপেরা শঙ্খলাগায়  – ভেসে ওঠে ভীত চিৎকার 
দিদিমা বলেছিলেন — দাও, নতুন বস্ত্র দাও মিথুন দৃশ্যের উপর  

এক নিরস্ত্র ছায়ার আশ্রয় নিয়ে আমি আদমের উত্তরপুরুষ 
অস্থির সাঁকোর দিক নির্ণয় করতে না পেরেই  কামড় দিই আবরণহীন আপেলে 
ঘোলাটে নীল বাস্পের ভিতর কলকল শব্দের রোদ খেলে যায় 




কভার গার্ল এর চুল উড়ে 

কভার গার্লের কাঁচুলির দিকে তাকিয়ে সেকচকের সদ্য মাতাল 
হোঁচট খায় পিচরাস্তায়, তাকে ঘিরে যে জটলা সেও মাতালের 
সবাই মিলে তৈরি করে ক্ষুধা  — রাস্তা ভাঙে অকারণ পদাঘাতে  
তারপর মানুষ — অধিকাংশ বাদামি 
চাষের গন্ধ তাড়াতে তাড়াতে ইরাকের তেল আর জঙ্গলমহলের মোরাম 
নিয়ে আসে বিছানায়; ধানশিসের সঙ্গে সনাতনের সম্পর্কটা বোঝাপড়ার জন্য 
হামাগুড়ি দেয় মদবেচা মোহিনীর পায়ে  

কভারগার্লের চুল উড়ে, বুকটা ঢেকে দেয় নাবাল অন্ধকার  

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন