তানিয়া হাসান -এর কবিতা
সাদা সিন্দুকের প্রহরী
আমাদের জানালার পাশে কোনো সুন্দর ছিলোনা আধবয়সী বেল গাছ আর খয়েরী কাকের বক্র ঢঙ দেখেই
ভিজে যেতাম
শোকেসে সাজানো গ্লাসের তৃষ্ণা পাওয়া দণ্ডনীয় ছিলো
আমরা এখন আর নদী চিনিনা
হুল্লোড় গুলো রেফ্রিজারেটরের ০.০০ মাত্রায় মিউট ছিলো
ঘুমিয়ে যেতো আয়নার বায়না
পরদাদা থেকে প্রাপ্ত একটা সাদা সিন্দুকের ঘ্রাণে মগ্ন থেকে
রাতের ঠোঁটে আর চুমু খাওয়া হয়নি
আমি বা আমার আগে কিংবা তার আগেও কেউ উড়াল দেখেনি
আমরা তাই চুল বেঁধে রাখি
সানগ্লাসে ঢেকে রাখি দাঁত
আমাদের বাবার মৌনতায় উর্বর একখন্ড জমিছিলো
এখনো আমরা তার চাষাবাদ করি
ঝিরিঝিরি সিকুয়েন্স
এই বর্ষায়ও তুমি
একটা গোসলঘর-ই হও
মধুর ময়েশ্চারাইজার বানাতে গিয়ে
দুফোঁটা রাখো ঠোঁটে
ঐ নাকে যে শিং মানায় না!
পাশের বাড়ির ভাবির ঝাকানাকা
তোমার শরীর পেরিয়ে এলে
খুব পুড়ে যায় ময়না ডাক
আমার যেনো ক্যামন লাগে
মরিচের ধোঁয়ায় তুমি ওড়ো
ধুকপুক রেডিও বন্ধ হলে
আমি যে খুব মরে যাই!
ঘুমিয়ে থাকা তোমার ঈশ্বর
মেহেদীফুলের দুরত্ব বাড়ায়
তার বাহুতে শিতল হয়ে
অক্সিজেনের আক্ষেপ ভুলে যাও
বার্তাগুলে করে ঝিরিঝিরি
তুমি হও পরের নেশা
পরবর্তী সিকুয়েন্স খুলে যায়
হেমলক শুধু আমার গ্লাসে
কখন যে তারে আপন পাই!
অনিবার্য সখ্যতা
ঘড়ির কাটাও বিকিয়ে যায় ঝিরিঝিরি মালিন্যের বিকিরণে
ভিজিয়ে রাখেনা সুখনুভূতি
আমরা সীমান্তসময়ের সীমা অতিক্রম করি
বহুগামী দৃষ্টির ভ্রমে
কাঁচা স্পর্শ মুছে দেওয়ার স্পর্ধা বর্তমানকে
ফেলে টগবগে কেটলির শেষ স্তরে
অভ্যাসের অভস্ত্যতায় নুয়ে পড়ে কমলা সকাল
শীর্ণ মায়া শুকিয়ে যায় শিউলির বৃন্তে
এমন অকারণের কোন স্বাধীন ভূমি নেই
খামখেয়ালি কিংবা খোঁড়া বসন্তে
এরা আসে
কোকিলের নখে
বেগানা শ্যাওলার শরীরে
সহনীয় অনিবার্যতায় ভাসিয়ে দেয় দিন-পঞ্জিকা
পূণরায় আমরা বৃত্ত আঁকি আত্মিক কেন্দ্রে
উড়ুক্কু ভরসায়
আমাদের ক্ষয়ে যেতেই হয়
অলৌকিক ঋণে
তাহার ভিতরে থেকেও
পাশবিক পর্যটনে
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন