বিশ্বজিৎ দাস






আয়নার বিভ্রান্তিসমূহ

১. সম্পর্ক

স্বপ্নের তৎসম ভাঙতে ভাঙতে গড়িয়ে যাচ্ছে রোদ্দুর। ঠিক এইখানে আমাদের প্রয়াত আলোর দেখা। তবুও কখন যেন মিথ হারিয়ে যাওয়া জ্যোৎস্না; বসে থাকে দূর নদীর কিনারে। রাতে। একলা হাওয়া গানের শিয়রে এসে উঁকি দেয় শোনো... পুরনো হাড়ের গায়ে জমে হাসি আর দীর্ঘশ্বাস। ওরা কাঁদতে জানে না, সে শরীরে রাখে ঈর্ষার জল। এই ভেবে শতাব্দী প্রাচীন সম্পর্কের নাম বলে, নদী ও আকাশ... মর্গের বিষণ্ন ঘোর; আয়নার ঘুম! ভালো লাশ বইছি কার বলো?



২. গোলাপগঞ্জ

গোলাপের সমূহ ক্ষয়রোগ জেনেছি। ফিকে লাল হলে স্বপ্ন ভাসে জলে। বুকে। জন্মান্তর বলে যে ফ্যাকাসে বিশ্বাসের সঙ্গে কথা হল, তাকে ডাকি। হেই বিরহের মানে বুঝে। হেই জানে, শাস তুলে নেওয়ার পর কি অন্ধকার? মনডা শুধু টানে ওই গোলাপগঞ্জের দিকে...



৩. রাধে

শরীরের জলাশয়ে রূপ সংকীর্তন। চুঁইয়ে চুঁইয়ে সাধকের অলীক আপেল! যেন কেউ জলে বসে, মন্ত্রপূত খাপ। তালে তালে বেজে ওঠে অতীত সোহাগ! ডাকে সাড়া দেয় তাকে, মেঘ ধোওয়া সাপ... এখন বৃন্দাবনের কাছে দুজনে যাব না। তোমাকে রাধের মতো দেখেছি আগুনে...




৪. দৃষ্টি

ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে পুরাণ সকাল। শিরদাঁড়া দেখছে স্থির সম্পর্কের ঘুম। শেষ রাতে চমকে দিচ্ছে ভুল আর্তনাদ। পোশাকের জন্মদিনে খসে পড়ছে বোধ। একটা জলঢোড়া সাপ ইছামুদ্দিনের মুখ চাটে লিকলিকে জিভে! সে চলে নিজের কালো আদরের দিকে... আমাদের কি কেবল দৃষ্টির অসুখ?

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন