চন্দ্রদীপা সেনশর্মা-এর কবিতা





বাড়ন্ত


মৃত্যু নিয়ে কবিতা লিখে চলি
                                           বন্ধকি জন্মঋণ
বয়স বাড়ন্ত বুঝলে পিছু ফিরে দেখি
হু হু করে ছুটে আসছে ছোটবেলা
                                   রাত্রির কাছাকাছি ভোর
স্লেট খড়ি পেনসিল নিয়ে বসি, দাগ কাটি
নক্ষত্রদের ঠাঁই দিই, কাটাচিহ্ন এবং গোল দিই
তিনবার মিলে যায়
                            মিলে গেলে মসৃণ বিরতি
আকাশকে উলটে পালটে দেখি মেঘ
                             কত জল কত বিদ্যুৎচমক
ভোর থেকে অপরাহ্ণ দৃশ্যপট বদলে বদলে যায়
রাতে ঈশ্বর আসেন হাসনুহানা জুঁই কাঁঠালিচাপায়
                                        গন্ধ বর্ণ প্রেক্ষাপট
খুব দূরে শেষ ট্রেনের ভোঁ বেজে ওঠে
                        ধোঁয়া রেখে চলে যায় স্টিমইঞ্জিন
ঘুমের ভেতর বয়স অতীত আঁকড়ে বর্তমানে...



১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১, সন্ধে ৬.৫৭




রিপু সংহার

নিম্নচাপের মেঘ, ধীরে ধীরে জমছে
মেঘের শরীরে আলো আছে
চমকায়, বাজির মতো ফুটে উঠে হারিয়ে যায়
আকাশেরও আছে অন্য আকাশ
খোদাই করে লেখা নিয়তি
নিয়তি পড়ি, সময় কাটে

পড়ার ঘরটি নিরালা, হাওয়া ঘুরে যায়
হালকা শিরশিরনি
জল এসে পড়লে ঝুপসি আঁধারে ধুয়ে যায় আলো,
ধুয়ে যায় গাছ বাড়ি রাস্তা ফেরারি শহর

বালির শরীর ছেঁচে তুলে আনে জল
আচমন সারে
ধুয়ে যায় অলিগলি খানাখন্দ পাপ


১৩ অগাস্ট, ২০২১, রাত ১.০৫




ফ্লেবার

হাতের পাশে হঠাৎ আলো হয়ে যায় শব্দ

অন্ধকারের যেমন আলো থাকে
আলোর থাকে অতল অন্ধকার
একের পর এক শব্দ গড়িয়ে যায় অতলে
হাত পেতে রাখি
আঁধার স্রোত কুহক জানে
আভেনে গরম হওয়া চিজ
ফুলে উঠে চেপে ধরে নরম আঙুল
সর্বনাশের খুব কাছ থেকে ফিরে আসে আঙুল
কি-বোর্ডে ম-ম নোনতা স্বাদ নাকানিচোবানি

তিনপ্রজন্মের পুরোনো হারমনিয়মটির
অসার রিড আর অবাধ্য কি' খুব বেয়াড়া...


৯ অগাস্ট, ২০২১, রাত ১০.০০

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন