স্বপন দত্ত-র কবিতা




আমি ও অমিতা নিবিড় রাত রসায়ন রহস্য
 

গুরু অথবা ঈশ্বর অথবা অন্যকেউ সহজিয়াগন্ধখোঁড়া এই প্রশ্নটা ঝুলিয়ে দিল- কাকে চাও আমাকে না অমিতাকে

এবং খাঁচাটা বিকিকিনির রাক্ষুসে ম্যাজিক চামড়ায় মোড়া তো থাকেই। ভিতরে পোকায় খাওয়া পাখি পলকহীন কথা আঁকছে। এবং এসব বন্ধুত্বহীন সম্মোহন দেখতে দেখতে ঋতুমতী ছায়াও কোকিয়ে উঠছে। স্বাতী নক্ষত্র খুঁজে বেড়াচ্ছে সেই শিশ্ন যেখানে ডমড়ু বাজছে ওঁ মণিপদ্মে হুঁ রোপন হচ্ছে। অবশ্য বেপরোয়া মাতাল পাঁজরায় অভিমান আর দহনের কাজটা চলছেই। হচ্ছেই প্রাণউচ্ছ্বাস সত্যপ্রকাশ-মাস্তুল বুলেটবিদ্ধ। কিন্তু কখনযে মসনদ লাগোয়া শ্যাওলায় ধর্ষণবাজি বিষনীল কৃৎকৌশল যাদুকরী-দুর্নীতি-বিন্যাসবাজিতে মুজরোর কঙ্কালঘরে নির্বিকার আমি। কিন্তু আমি তো তলিয়ে যেতে চাইনা। সত্যি বলছি ড়ি ড়ি ড়ি ড়ি যেখানে ওই অমিতা জড়ানো বৃষ্টি খিদে ভাত-রুটি-আলো-মাটি আশ্চর্য আদর মাখতে রে রে রে রে রে উন্মত্ত ছুটতে ছুটতে ভারভারা গদ্দার চে পাশ কেবলই একফালি কবরের স্বপ্ন হয়ে ফুটে থাকে। প্যান্টির নীচে আমি ওই নির্বাক যৌন পুতুল পুতুল সহবাসি মধুচোষা কয়েদ চাইনা। এখন তো শুধু জলে পড়ে পড়ে পচতে থাকা পচা ব্যঞ্জনা। এখানে তো কোনো ঘোড়া ছুটতে থাকা মাঠ নেই মাঠের হাজতবাস হয়ে গেছে। ঘোড়া অথবা ফর্সা সুন্দর পেশিবহুলতা কবে কখন যে গোপন আঁটোসাটো সময়ের হাতে শপ-লিফটিং হয়ে যাচ্ছে। সবাি সবকিছু জানে। অথচ কেউ কিচ্ছুটি বোঝে না। 

অমিতারা তো দ্যাখেই উম্ উম্ উম্ কেবলই ওইদিকে ছুটে যাচ্ছে।  অথচ। বাঁচা আমি মরা আমি তফাৎ চলছে। অমিতাদেরই হাতে মাপা চলছে ভাষণ চলছে। সে কতযুগ আগে খিদের অন্ধকার কামড়ে ছিল। এখনো সেই কামড়ের স্রোতে আঁকা আদর-মাখন-রুটি-কেক-চা সাথে উর্দি-পুলিশ-ফাইল-চেয়ার শক্ত খুঁটিতে গাঁথা। বর্ষাসন্ধাও। চোরাবালিতে তলিয়ে যায় কোনো এক সময়কার উন্মত্ত-উত্তাল ভূখণ্ড। 

তবু আজও চেটোতে গাঁজাডলা চলতেই থাকে। একচিলতে আকাশ। উঁকিমারে দুধরাজ নাগ ঈশ্বর গুরু অমিতা। একচিলতে ছোবলের জন্য কাতর হয়ে থাকে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন