তানিয়া হাসান-এর কবিতা
ধোঁয়া ধোঁয়া চার্জশিট
দেখা ভাঙে যার কথায় কথায়
তার চোখে চশমা বেমানান
ঝিমিয়ে যাওয়া জৌলুস জেগেছে যে স্পর্শে
ক্যাফের সাথে সমঝোতা না থাকলেও
কফির ধোঁয়া তাকে বলা যেতেই পারে
যদিও তার গন্তব্যেই প্রাণের বাস
এই এলোমেলো বিলাপে খোলা থাকে
শাড়ির পিন স্বশন নয়
একটা দৃষ্টি আঁকড়ানোর অপেক্ষায়
সে-টা খুব অবুঝ সেতার
দোয়ার কাটে ভাটা ভাটা দুঃখে
তার বিছানায় আনন্দ বিলিকাটে
ঘুম ঘুম ভয়ে স্বপ্নে আসেনা
এক ঝাঁক বর্তমান
কলমের ক্রাইম মন উতরিয়ে
জানালার পর্দা বিষয়ক চার্জশিট
তৈরি করে
খুনসুটিতে খুন হয়ে যায় টিপটিপ রাত
তারে আর বুঝানো গেলোনা
একটা আকাশ বিক্রি হয়ে গেলো
এক চামচ ডেটলের ঘ্রাণে
কুসুম বিকেলের কনফারেন্স
কিংবা দক্ষিণ খেয়ালে
আয়নার আয়না তার নামে লিখে দিয়েছে
একটা আমিকে
তবুও সে চশমাটাই হারিয়ে ফেলে
একটা সবুজ স্নেহ
দিনলিপি থেকে নিভে গিয়েছে যে,স্নিগ্ধ হাওয়া
জানিনা তাতে পরাগায়ন হয়েছে কি-না কোন বায়নাঘর।
তবে পঙ্গু হয়েছে প্রার্থনার ছাউনি
স্নেহের আরশি
আর একটা সবুজ নির্ভর
শান্ত রিদমগুলো সকালের দুয়ারে
হয়তো আর আসবেনা
সাদা কইতরের নখ ছুঁয়ে
একটা নিঃস্বার্থ সুতোয়
সেলাই হবেনা ছেড়া সাঁকো
ঘুমিয়ে যাবে সব ঠিক হয়ে যাওয়ার ধ্বনি
তবুও সে থাকবে সেজদার পাশে
আমার সব ভালোর আশীর্বাদ হয়ে
পূণ্যের পাহাড় ও একটা স্নিগ্ধ আস্থা
বারণের বারান্দায়
পাশ বারান্দা ধারনিয়ে একটা বিস্ময় দেখি!!
নিভে যাওয়া কুহলিকার আঁচে
কেমন রয়েল দাগকাটে বর্তমান...
এই উত্তপ্ত ঘোরের কোনো রঙ হয়না
শুধু জমে যায় গ্রীষ্ম।
সমাপিকা-অসমাপিকার দূরত্ব জানা নাই বলেই
অসমবিকেলের বয়ান স্থির হয় চৌমহনী ঝলকে
এমন নিপুণ শিল্পে চরম উত্তপ্ত হওয়া গেলেও
নিকটবর্তী জোছনা ছোঁয়া যায়না।
চড়ুইদের কোনো বারণদার থাকতে নেই
তাই লেবুর শরবতে তুমি বিদ্যমান
হুল্লোড় ছাদের বিন্দু জানে
কেন ঘুম পরাজিত হয় কাছের রেখায়
পতনের নামতা
নিষেধ এর আজ্ঞায় খুলে ঝর্ণা
আঁধার উসকায় হীনস্রোত বিব্রত ধূসরতায়
আমরা বদলে যাওয়া মঞ্চে জোকারের আঙুল চুষি সমন্বয়ের পতনে
বেগের দুর্বলতায় বেঁকে যায় আবেগ
আদতে পরিবর্তনের পরবর্তী রূপই মৃত্যু
সূর্যকে বাঁচিয়ে রাখে সকাল আর সকালকে কাক
যেহেতু চাকার চমকে ফিরে আসে বসন্ত
আর চিরন্তন রসচক্রে কমলাই চিরসত্য
অপূর্ণ আলাপে পড়া যেতেই পারে
পতনের নামতা
কৌমার্য যখন কেমিক্যালে বুঁদ
টগবগে আঙুরের থোকা
দীপ্রভুলে ঝুলে থাকবেই
যে প্রশ্নে পেখম ভাঙে
অতঃপর গ্লাসের শেষ চুমুকে হীরকচূর্ণ
অমূলক জ্বরে মৌলিকতা না থাকলেও মনে মনে ঝিরিঝিরি চ্যানেল চেঞ্জ করা যেতেই পারে
যেহেতু সজারুর চুলে ভাঁজ থাকেনা
কোথায় লুকাবে কামঈশ্বর
স্বচ্ছন্দের ধোঁয়া কি শুধু দক্ষিণ কামরায়
তাহলে দক্ষিণাভোলা চায়ের কাপের আশ্রয় কোথায়?
আঙুরের থোকায় না দুধপুকুরে!
সরল রেখায় যে তীর্যক প্রেমের সৃষ্টি
তার শরীরের শরীর হেলিয়ে সংহার বেলায়
কি সংহতি মিলে!
দূরযাপনে যে ক্ষুধার জন্ম
তার জন্যই কি সর্বক্ষয়
পেখমভাঙা প্রশ্নগুলো
উত্তরহীনতায় ভুগে অশ্লীল ভোরে
আমরা হোঁচট খাই বরাবরই শুদ্ধ ব্যকরণে
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন