পৃথা চট্টোপাধ্যায়-এর কবিতা 





মধ্য যাম


১.
সরু টানেলের দিন
একবগ্গা চলতে চলতেই সন্ধ্যা নামে
খুলে যায় অভিমুখ
কুসুম কুসুম রাত, চোখ সওয়া অন্ধকারে ব্যারিকেডহীন আকাশ , চকচকে তারা
গাছপালা রাত হলে কথা বলে
জলে নামে নমনীয় সুখ
সোহাগি মাছেরা পায়ে পায়ে
খুঁটে খায় গাছ- ফল
চোখে জ্বলে আলোক তরল
গাছ আর মাছের আলাপে ধাঁধা লাগে
বনভূমি নিশ্চুপ চোখে
মাঝরাতে নারী হয় পিচ্ছিল মাছ
অনাদি রাতের খেলা প্রকৃতির



২.
রাত ঘন হয়ে আসে
দুচোখের পাতা ভারি
আরণ্যক জীবনের ক্ষয়
তুখোড় পুরুষ কোনো
উপত্যকা পাহাড় চিনে
চষে দেয় জীবনের লয়



৩.
জীবনকে কে কতটা চিনেছে!
চিকন বিকেলে
সবাই তো ভালোবাসে।
কখনো হঠাৎ যদি মধ্যযামে
দ্বাদশ কলার কাছে নতজানু
পৌরুষ থামে
উপাসক ছেড়ে যায় কালীকুণ্ড!
বেদিমূল সেইদিন একাই ভেসেছে



৪.
উড়ন্ত চাকার এই বর্তুল জীবন
ক্রমাগত ঘোরে
জলের ভিতরে কত বাসমতী ফুল
মায়া রাতে ক্ষতচিহ্ন
নারীর শৃঙ্গার
অভিজ্ঞান নিয়ে ফেরে পুরুষ পৌরুষ
দোহনে সমান অধিকার
মধ্যযাম একমাত্র জানে



৫.
এ জীবন গলে যাওয়া চাঁদ-আলো
আপেলের স্বাদ
লবণ সঙ্গীত গাথা
নাভিমূল শস্য ফুলে নত
হৃৎপিন্ড ক্ষণিকের দান
নিশীথ বৃক্ষের কাছে
রেখে যায় আয়ুষ্কাল
রমণী সঙ্গীত
অলৌকিক হয়ে থাকে কোনো কোনো মধ্যযাম!





2 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন