প্রশান্ত গুহমজুমদার-এর কবিতা





বহিরঙ্গের আসর

ইত্যাকার শব্দ বড় গোল করিতে থাকে। মৃদঙ্গ সমতালে। ইহা কেবল বহিরঙ্গের আসর। অভ্যন্তরে কুয়াশা। অভ্যন্তরে ক্রোধ।  অভ্যন্তরে দরজাজানালা ভাঙিয়া বাতাস। এক টুকরো সংবাদে এইসব সে লিখিতে থাকে। অন্ধকার, তথাপি লেখে। ছন্দ লেখে, তৎসম লেখে, নদী এবং গাছ লেখে। কথা লেখে, লেখে কথা। পরিত্রাণ লেখে না। অশ্রু লেখে না। রাত্রি অপূর্ব লেখে, সিঁড়ি অনায়াসে। তাহার কিঞ্চিৎ বাতাস প্রয়োজন। বাতাস লেখে।  রৌদ্র লেখে না। অশালীন দেয়াল লেখে। প্রেম হইতে বাজার অবধি সে লিখিতে থাকে। ইহা এক কাব্য, ফলত আজীবন লিখিত হয়। রক্ত এবং রজ্জু তাহাকে ভালবাসিতে থাকে। যেরূপ প্রথম।


মীড়

প্রতিস্থাপনে জাতীয় বাজিয়া উঠিল। ধ্রুবতারার নীল তোমাতেও বাজিল। উদ্ধ্বত দৌড়ে তুমি।  বস্তুত সানাই কিছু অতিরিক্ত আনন্দ করে নাই। কেবল আবহে ছিল। আলো হইতে নামিল বর্ণ। বাতাস হইতে বাতাস। আঙুলে মেজরাব। আমি কি পূর্বেই ঐ অশ্রু স্পর্শ করিয়াছি! মীড় কিছু সঙ্গ দিল। সে এক অনন্ত! পথের। তুমি? আমিও! দরজা সবে খুলিয়াছিল। বোতাম তখন স্পর্ধায়।



রোদ্দুর

লিরিকের এমন মেজাজ, চাদর স্পর্ধা করে। যেমত ইতিহাস ধীরে শুরু করে বিভাব পুনরায়। বাহুল্য যেহেতু অখিল পেষ্টে। ভাবি, আজ, সাদা শাড়ি, রোদ্দুর, দুঃখের একা। তোমাদের জানা আছে ভোরের স্নান, কবুতরের, এতটুকু আলো তার বিলগ্ন ছায়ায়? খুব দূর থেকে প্রাচীন শব্দে, সেই আহরণে বিস্মিত করি আজ আমার আমাকে, তাবৎ সাদাকে। সে আনন্দ আমার।




গ্রন্থনা

গ্রন্থিত আলো। সু। পাতাসব। কাহারও খেলা। তবু তুমি সেই রক্তপাতে। অথবা তোমার ছায়া। সে তো করতালি সহযোগে এ নৃত্যে বলিয়াছিল, ওইখানে যাব। অন্ধকার কি চামচে নামিয়াছিল? বৃষ্টিপাতে বাজিয়াছিল মৃদু হা হা রব? শান্ত। শূন্য। কালের পেটোয়া। চক্ষু, চক্ষু এতসব পরিক্রমা শেষে স্থির হয় একখানি মুঠোর ভিতরে, জলে, কিছু বা বাহুল্য বালিতে। হায় দেশ, গমের সে অনিবার্য। ভাঁজ। এখনও!

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন