রুবি রায়-এর কবিতা 





যখন আমি স্নানঘরে :-


একটা হেয় আকাশ থেকে 
গোলাপ বৃষ্টি হলে অবাক হই 
ঠিক ততটাই অবাক --
যখন কোনো ধর্ষনার টি-জোন থেকে
ওড়না সরে যায়

আমি অভ্যস্ত চ্যাপলিনের সুগভীর চোখে
শুয়ে থাকতে ।

একটা হেয় আকাশ থেকে
ভালোবাসি বললে কষ্ট হয়
ছুঁতে চাইলে ঘৃণা হয়
শরীরের যত্ন কথা উঠলে

ছুটে চলে যাই স্নানঘরের চৌবাচ্চায়
ডার্ক হয়ে ডুবে থাকি ।

কারণ হেয় আকাশের অ্যাসিড বৃষ্টি
নষ্ট করে নামের মূল্যবান পাথর

বই পড়ি... রক্ত মুছি
চেয়ে দেখি সেই তারাগুলোকে 
যারা বিশ্বাস করে ঠকেছিল

ল্যাভেন্ডার রং নিয়ে পঞ্চাশ বছর পর তাদের তারাখসা হবে ।

                         

রাধার বাসন্তী ওড়নাতেও.....


চোখের দাওয়া থেকে জল চুঁইয়ে থমকায়
আমাদের শিউলিগাছটা এইভাবে জল জমে মরে গিয়েছিল 
ঘুম থেকে উঠে দু-চোখে অ্যাসিডের ছিটা দিই যেন স্বপ্ন দেখতে না পারি
ফেনিল গ্যাজায় রাধা-কৃষ্ণ মেতে ওঠে
প্রেমের নতুন ভার্সন দেয় বাঁশি বাজিয়ে
নয়তো সঙ্গমে 

রাধার বাসন্তী ওড়নাতেও  গিট বাঁধা ছিলা
মীরজাফর স্বপ্ন...

আপডেট করি শ্বাসকে
পুজ মাখানো গন্ধ মুকুট হয়ে আছে ঐ কুকুরটাতে--
যে দেখছে খাদ্যমন্ত্রী বদলানো

দাদা, কত পা গেলে ওর কোল ?
আমি বসতে চাই সেখানে
ওর শীর্ণ দাঁতে ডোনেট করেছি নিজের মাংস
পরশু যদি খুব গন্ধ বেরোয়

একটু হাতুড়ি মার্কা ফিনাইল দিয়ে দেবেন 
আমার একান্ত অনুরোধ ।

                                 

দুগ্গা :-


সূর্য যতই উজ্জ্বল হোক
ময়লা বিছানায় তার প্রকাশ কম হয় 
খুচরো পাপ জমানো এই মুখটা আয়নার
সামনে রেখে দেখলাম--

বিভূতিতে দূর্গা চোখ খোলেনি
আমাতেও খুলল না
থাকনা ওরা চোখ বুজে ।

অপুরা দৌড়ে যাক শিউলির ঘ্রাণ নিয়ে
ধুতি , পকেট, মুঠো ভরে আনুক সোনালী আলো 
তাদের ছায়ায় গোমুখ আরও শীতল হোক 
তুষার পাতে ঢেকে যাক পার্বতীর সংসার.....

            মহাদেব বদল চেয়েছেন
             বদলাতে নয় 
কালো কার্ফু মাস্কারা বেঁয়ে নামুক সব আঁচলে ।

                    



গোল্লা :-


  খুঁজে পাচ্ছি না ।
           রাস্তায় কাদা নেই , আকুল বৃষ্টি নেই,
সবুজ সিগন্যালে কারোর জন্য অপেক্ষা নেই । সবার পায়ের শব্দে একটা কালো ছাপ 
 সুতোর মতো বাঁধা ।

তবে সেটি আগামী না পরশুর জন্য জানতে গেলে ঠোঙা থেকে বিজ্ঞান পৃষ্টাঠা ছিড়ে নিতে হবে ।
সেই সুতো থেকে নিঃসন্দেহে আনলিমিটেড ভাবে ঝরে পড়ছে 
নুপুরের মৌলিক ব্যাথা ।(আমি পরিচিত)।

সমস্ত জায়গায় আষাঢ় বেলার ৩১ তারিখ চলছে। এত খোঁজার পরেও বাদিকে শুধু 
শূন্য বিভক্তি !

যে জাতপাত হীন ছায়ামূর্তিটা প্রতিরাতে আমার পেটে হাত দিয়ে চাটত ,তার লিঙ্গ নির্ধারণ করতে ...
খিল দিইনি বহুবার ।

তবু--- বিশেষ্য পদ বলেছিল খিদে ।

একদিন দৌড়ে গিয়ে দেখি কবর খুঁড়ে খিদে 
অভিসার খুঁজছে ....
যা আমি এতদিন ধরে সম্পাদ্যের বুকে 
হামাগুড়ি দিয়ে খুঁজছিলাম ।

                    


শ্যামাসঙ্গীতের ব্ল্যাকমেইল :-


যে চিন্তাগুলি অদৃশ্য দ্রাব হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে বটম টু বটুয়ায় --
তারা সকলেই ম্যাটিনি শো ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে।
মগডালের স্ক্রিনশট তুলে এগিয়ে গেছে বহুকোশী ইমেজে ।
গোলাপি তৃপ্তিতে ভরপুর সকল আদিমরস ।
এক আটপৌরে ঢেকুর থেকে ওড়ে সাদা পায়রা ।
তবে, দূরে কোথাও শ্যামাসঙ্গীত ব্ল্যাকমেইল করে উঠলে আদিমতা হ্রাস পায় । 
হোমোসেপিয়ান্স থেকে ঝোলে ঝিরণী নৈতিকতা ।
গুপ্তবীজী মন্থর ঘটনার উদাহরনগুলি নিজস্বতা কায়দায় শিশির ফলিয়ে যায় ভ্রু অঞ্চলে । 

সুতরাং, বলা যায় আদিমতা# লুকোনো তৃতীয় জ্ঞানচক্ষু । 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন