সমীরণ কুণ্ডু-র কবিতা 






সোনাল এক বিরল প্রজাতি ( ৮ ) 

মুখিয়ে দেখছে অক্ষর সংবাহ। ঘনত্ব মাপার পর যে রাত্রি কোমল। নৈঃশব্দ্য চালান হয়ে গেলো প্রতিকারে। দীর্ঘ বোধ বেয়ে নেমে আসছে ঝরণার জল। জলবায়ু সে অর্থে নগর বহির্ভূত কোলাজ, মিথ্যাবাদী নয়। যত্ন পেলে ছাই ওড়ানো সহজ। অদৃষ্ট দোষের হবে কেন? সায়ংকৃত্য নিয়ে মাথা ব্যথার কারণ আছে। দেহ থেকে দেহে গণিতের প্রয়োগ ছিলো। ফলাফল জানা যায় নি





সোনাল এক বিরল প্রজাতি ( ৯ )

পঠিত সংস্কার :   ধরে আছি কেন? সাথী বলা যায়। হারানো পথে ছাউনি ধরা আকাশ। একপেশে জানা ছিলো না

অনুভব ও পাঠ :   প্রচ্ছদলিপি। নিভৃতচারী। সারল্যে মুগ্ধ যখন মানসিক। চোখ চেয়ে দেখি বনতল 

রচনাসর্বস্ব :   নিজস্ব খেয়ালে সঙ্গীত যৌন পিপাসা মেটায় আলপনা এঁকে




সোনাল এক বিরল প্রজাতি ( ১০ )

একের পর এক শূন্য মানে তৃপ্তির বহির্ভাগে অন্ধ আহ্বায়ক। বুদ্বুদ ভাবার্থ কী-ই বা হতে পারে? পরহিতৈষী যা কিছু অপরাহ্নের বিজ্ঞপ্তি। কন্ঠ ডেকে নিচ্ছে মালিনীর গৃহ। আকাশের নিচে তলিয়ে গেলো বিচ্ছুরণ। পাঞ্চজন্য বেজে উঠলো কালো জলে। পার্থিব বলতে আমার ঠিকানা ত্রুটিপূর্ণ। মুহূর্তরা তন্ময় অমরত্বের খোঁজে। কাল কালান্তর ছাপিয়ে আত্মাহুতির মিছিল। তিলদানে উদ্যত সন্তান। হারিয়ে যাওয়া প্রজাপতি ফিরবে না





সোনাল এক বিরল প্রজাতি ( ১১ )

কী কথা নামে নৃত্য সংবাহে। আরো আরো ভঙ্গিমা। প্রত্যয় বলতে বৃত্তের পরিধি ছোটো বড়ো করাই সার। সাগর কুঞ্চিত ওষ্ঠে তখন অপার্থিবের দ্বারস্থ। পরিচালক ধরাছোঁয়ার বাইরে। বিস্তৃতি নিয়ে কেউ মিথ্যে বলছে না। ভ্রম সূচিত ডানাগুলি ওড়ে। ছক্কা কাটা ডিঙি। কলার উঁচিয়ে চলা আমার অহংকার নয়। মন্ত্রে বাঁধা লাটাই। কূল ছাপিয়ে চোখের আড়ালে যেতে সুতো ছিঁড়ে গেলো





সোনাল এক বিরল প্রজাতি ( ১২ )

বিস্ময়ের হোলো আশৈশব একনিষ্ঠ থেকেও অনিবার্য পরিণতি। যেখানে যূপকাষ্ঠে তদ্বির ও মোহনার কেচ্ছা মিলিয়ে তরজা। লেজ নাড়া পোষ্য মুছে রেখেছে চাঁদের মুখ। স্নেহ হতে পারে, সম্মোহনও। হতেই পারে সিক্ত। তবু প্রেম কি? আহতের ধ্বজা ওড়ানো স্বভাব যার --- নয়ানজুলি 

অমাবস্যা মানে শুধু অন্ধকার নয়। শুক্ল পক্ষের আয়োজনে বানভাসি জল। দেবী তুলে নিচ্ছেন অবিশ্বাস্য ঢেউ। তাতে আশ্রমের ঠিকানা লেখা




সোনাল এক বিরল প্রজাতি ( ১৩ )

কাল নিরবিধি --- ঔৎসুক্য ছিলো বড়ো একটি প্রশ্ন। প্রোফাইল হয়তো সেখানে বিষয়গত ও নাব্য। শান্ত দেখেছি আর্তের পাশে সারারাত। গন্ধ কুড়িয়ে দিতো গ্রামীণ কাঁঠালিচাঁপা। বিজ্ঞাপনের আয়ুষ্মতী তখন কোথায়? বৃক্ষে নিরাপদ সিঁথি আবছা। চিলেকোঠাটি কাঁপছে। মহাশূন্য কি এসব জানে না





সোনাল এক বিরল প্রজাতি ( ১৪ )

মুহূর্তে জুড়ে যাচ্ছে প্রান্তিক অনুপাতগুলি। সঙ্গম একটি অনন্ত রচনা। আরতির সৌন্দর্য বিষয়ে কথা হোলো। ডুবে যাওয়া ভেষজ। ঋতুর চরিত্র জানার পর থেকে যাবতীয় স্পৃহা ও সূত্রের পূর্বপুরুষ নাগালের বাইরে। আলো ফুটছে যখন ঊষালগ্নটি স্পর্শ করা বাধ্যতামূলক। একেকটি মধ্যমার ডগায় লাগানো চন্দন জল। অঙ্গুরীয় ভিজিয়ে আচমন সারছে পাড়

নিরুদ্দেশ অ্যাতো মহান হতে পারে? এবং সংগ্রহ

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন