রাজেশ্বর গোপাল-এর কবিতা






উৎসব

অপরিসীম অসীম থেকে অসীমে
                 পুরাতন থেকে নতুনে
                                     নতুন থেকে নতুনে
ঘষা কাঁচের মত আবছায়া যেটুকু পড়ে থাকে
 তা পুরাতন..... জীর্ণ

অথচ স্বচ্ছ স্ফটিকাকার যেটুকু লেগে থাকে ভাব
প্রকৃতি ও প্রাণ সম্পর্কিত 
         জল জল রং ছাপ, নির্গুন সদাবাহার
নতুন পাতা আর পাখির কলকাকলি
                   তা সনাতন.....   নির্মিত বা বিনির্মিত

প্রেমের উৎসব 
                       আলো- রং- বাতাস.....






ভ্রমবিন্যাস

নতুন পুরাতন সব ছেড়ে দিলাম
ক্রমাগত ভ্রমবিন্যাস কে পরাক্রমী ভাববিন্যাসে বইতে দিলাম--

ক্রমশ প্রস্তুতির সূচনাপর্বে ভেসে এলো
এক অদ্ভুত পরিপার্শ্বিক বহিরঙ্গ থেকে 
                      অন্তরঙ্গে অভ্যন্তরীণ মনজগৎ....   অচ্ছ্যুত! 

অর্থাৎ নতুন ও পুরাতনের মধ্যে কোন সাদৃশ্য নেই
নেই কোন বিভেদ,
ঠিক যেন আকাশ ও মহাকাশটার মতই রহস্যমঞ্চ;
ভাবলেশহীন বোঝাপড়া --
                  না বিজ্ঞানের মধ্যে জ্ঞান অন্তর্নিহিত, 
                        না জ্ঞানের মধ্যে বিজ্ঞান অন্তহীন! 

অযাথা আমরা আবরণ ও নিরাবরণের মাঝে
ফাঁদ ফেলে বসে থাকি;
অজানা এক কুহকের ইশারায়
                    বিস্তার করে যায়....  আন্তর্জাল ও বহির্জাল
      
                                             মধ্যবর্তী শূন্যতা....  
   



কর্মফল

পাহাড়ের দৃষ্টি অবরুদ্ধ নয়
সমুদ্রে সীমাহীন ফেনিল উচ্ছ্বাস লাগাম বিহীন 
অথচ সবার মৃত্যু হয়
                                  দৃষ্টি,  উচ্ছ্বাস
আবার জন্মও নেয়;
মাঝ বরাবর যেটা থাকে
সেটা শুধু দিক পরিবর্তন 
                      একটু একটু করে এগিয়ে যায় রূপান্তর 

এমনি আমাদেরও মৃত্যু ঘটে, জন্মও নিই
আবারও মরি।
শুধু মাঝ বরাবর একটি অদৃশ্য সরু সুতোয় বাঁধা থাকে
আমাদের অসংলগ্ন অলিগলি পথ, স্থূল শরীর-সূক্ষ্ম আত্না
            যান্ত্রিক ব্যাবহার ও আত্নিক দৃষ্টি সংগোপন 

তাই বার বার যাই, বার বার ফিরি
খেয়াঘাটের ঐশ্বরিক বাদ বিচারে অস্পৃশ্যতায় লেগে থাকে
আসা যাওয়ার কারণ আর মন মায়ার অবাহ্যিক টান
এবং একটু একটু করে বেড়ে ওঠে
                                                নৈসর্গিক রূপান্তর 
 
অনেকেই বোঝে না,
                      অথচ যাকে আমরা কর্মফল বলি---
 



                                

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন