নির্দিষ্ট কোন সন্ধ্যা নেই – তারা মিলিত হতে থাকে বর্তমানে কিংবা পরবর্তীকালের কোন সাঁকো পেরিয়ে – ফোঁস ফোঁস করে মুখের ভিতরের সাপ – এখানে মাতাল অঢেল , তারা নীল দুপুরের কোরাসে শৈশব ভুলে গিয়ে হাতে নেয় নলখাগড়া – যার পথ মিশে গেছে সমুদ্রের দিকে
যেহেতু মাতাল হবার কোন বিধিনিষেধ নেই - কিংবা বলা যেতে পারে – মাতাল হওয়ার জন্য ট্যাক্স নিচ্ছে আইসোলেশন – সুতরাং শ্যামা সঙ্গীতের নামে তারা খুলতেই পারে জামা প্যান্ট অন্তর্বাস – এই ভাবে ইহুদিদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া পানশালাগুলি পিচ রাস্তার ধারে ধারে জড়িয়ে ধরে সব বয়স। বকাটেদের তাড়নায় একটা একটা পরিচিত নয়ানজুলি গোপন করে রক্ত কফ ও বীর্য – আর অনিষিক্ত ডিম্বাণুর জন্য ফুটে থাকে রোগা রোগা শাপলা
আস্তিক
যে কোন রিপুই সুযোগ পেলে চুমু দেয় গাছের কপোলে , তখন চাঁদ কাঁপতে থাকে থরথর । গোপন ব্যাধি থেকে মুক্তি পেতে টান মেরে সরিয়ে দিই বিছানার চাদর । নীরবতা পালনের পাখিরা নদীর আকাশে পাখনা মেলে , তারপর শুধু ক্ষতমুখ – স্তনিত পালকে ঢাকতে ঢাকতে ফিরে যায় মাটির বুকে
আমি সেই মাটির কাছেই বসে থাকি নিজস্ব বিভায় – আস্তিক অন্ধকারে ক্রমশ জ্বেলে যাই উই খাওয়া বাঁশির ছিদ্রপথ – আমার মুখের ভাঁজ থেকে আশাহত সব কালো কাপড়ে ঢাকা বাইকগুলো ফিরে যায় মেট্রোর ধর্ণায়
নিজেকে মেরে ফেলবার পূর্বেই আবারও সেই অনন্তের কাছে হাঁটু গাড়ি – আমার বুক চোখ কপাল নাও – আমাকে ভুলো না সৃজন
ভূতভৌরির গল্প
দেখতে চাইনি কখনো ফুলের প্রদীপ ; রাতজাগা আকাশের অন্ধকার উড়ে যায় - সে সুখ বাসা বাঁধে অস্তমেঘের নিচে
এ পথের ধারে বেণুখালটি কচুরিপানা বুকে নিয়ে শুয়ে আছে ঝোপঝাড়ের গরিমায় – তার বুকেই হাঁস চরে এতকাল , তার কাছে যে জীবন খোঁজে –খুঁজুক ; কেটে ফেলুক হলুদ কেশরীলতা – বোলমুখ থেকে সারি সারি ভুতভৌরি ফুটে আছে – আরো তৃষাতুর – তাকে দ্যাখে নি কেউ –
রতন কাকি ফুলগুচ্ছ খোঁপায় গুঁজে পেরিয়ে যায় অবিবাহিত সাঁকো
রাইচকের ভোর
মাটির ভিতর শুয়ে থাকা বিছেটির ঘুম ভাঙলে নদীটি শুকিয়ে যায় ; শীতল পায়ের পাতায় শুরু হয় শব্দঝড় - পুরো ছয়মাস কাল শুয়ে থাকার পর এই স্নায়ু স্পন্দনে উড়ে আসে এক ঝাঁক কাক
তাকে রাইচক বলে চিনি , নতুবা কোন সিঁড়ি নেই – পথের ধাপে বসে রতন বিড়ি টানে – তা ছাই হবেনা কোনোদিন , চাকা বসে যাওয়া আহ্নিকে যতই হিজল পাতার বাতাস লাগুক, সুন্দরতম পায়ের ছাপের জন্য চুপচাপ বসে থাকার কোনো দর্শন নেই , গত সনে চইতকাকি যে গালে নিশ্বাস ফেলেছিল সেদিকে নাহয় বুক পাতি , আর মিশিয়ে দেই অবাধ্য রোদ ; ফরেফরে বাংলা ক্যালেন্ডারটা কেঁপে উঠুক প্রথম বৈশাখে
নিউটন রং
একটানা কুড়িয়েছি বকুল – তারপর দীর্ঘতম তামাটে রং পেরিয়ে একটা পুকুরে চান করতে চায় যে পাখিটি তার ঠোঁটে ঘননীল আকাশপথ ; তবুও তলানিপ্রায় জলের কাছে ডানা ঝাপটাতে ভালো লাগে – বৃষ্টির প্রতীক্ষা করা সমস্ত রতন কাকাদের কাছে বসে মেঘের ক্লান্তিতে বসে স্থলপদ্ম হই
ভাসমান নীল থেকে ঝুলতে থাকে থোকা থোকা শিমুল – ধীরগামী নিউটন হাওয়া চায় নীরব হৃদয় – তাকিয়ে থাকি পথের দিকে – না চাইলেও আসবে কাটফাটা রোদ , হাঁসফাঁস করা ইতিহাসের প্রণয় থেকে বিন্দুবিন্দু ঘাম
বাঁকে হারিয়ে যায় ঝরাপাতার উৎসমুখ
ধন্যবাদ ।
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন