মন্দিরা ঘোষ-এর কবিতা




বর্ণমালার রাত




  বসে থাকো  ভাবের সিড়িতে।
 দ্বিধা কেটে কেটে বুলিয়ে দিই আরম্ভ।  
স্বরে ঠোঁটের সংকোচ।
রোমের ভিতরে ফুরফুরে  ফড়িংকথা ।
সমস্ত শ্বাপদ থাবা বাড়িয়ে দেয় প্রশস্তিতে।



ছোঁয়াছুঁয়ি ঠোঁট বিলিয়ে দেয়।
 ফেনায় ফেনায় আহত চিৎকার। 
উপসর্গে চাঁদের আহুতি।
আমি পুলকের পুনর্জন্ম।
ছায়াপথের মিথস্ক্রিয়ায় হাড়ের চিৎকার।
ঘন্টাধ্বনিতে নৈঃশব্দ্য বাজে ।

অবিরামে ডুবে যায় বেলা। 
শূন্য ছেটায় কাজললতায়।
তোমার জন্য রাত মুখস্থ করি।
ফুল তোলা জ্যোৎস্নার  জাফরানি বন্দিশ।
 টলোমলো পা  বিভোরে বিভোরে  । 

ওগো নীরব বেজে ওঠো কলমে কাজলে।
জলের ঈর্ষা টেনে মুখর যে রাতের তীর!
 ধনুকে পিয়াল চেলি।

আরও  কী গভীর  হবে জ্বরের বিন্যাস!
আরও কী স্বাহার আগুন!
  

ভেজার ভিতরে দাউ দাউ অন্ধকার।
জলঠোঁটের সোঁতায় পীড়াগাছের ব্রত।
 শূন্যের মৌচাক থেকে খসে যায়
 মেঘের কাঁচুলি।

ওগো ভোর,খুলে দাও উপবাসের গিঁট।
বৃষ্টি  ঝরুক রাতের গুনফলে।

আহা মেঘ! শীতলতা কাটো।
ছাই ছাই রক্তের গ্রহে বীজ পোঁতো। 
নীহারিকা টাটিয়ে উঠুক দুগ্ধখামারে।

জল তো বিকল  আগুন।
শরীরে গাছের কোটর।মাছনাভি।
কুসুম উষ্ণতা মাখে দীর্ঘ পাখিরাত।
জলের ফাটলে খোলা জোনাকির দেশ।

রাতের ভিতরে নেমে জলসুখ ঢালি।
বাসুকিসকাল ডাকে পায়ের ছোবলে।
 বিষে বিষে সর্পগন্ধা আমার স্বদেশ।
 কেটে কেটে বসে দিন মন্থন প্রলাপে।

1 মন্তব্যসমূহ

  1. সমস্ত শ্বাপদ থাবা বাড়িয়ে দেয় প্রশস্তিতে।
    আমি পুলকের পুনর্জন্ম।
    তোমার জন্য রাত মুখস্থ করি।
    আরও কী গভীর হবে জ্বরের বিন্যাস!
    ওগো ভোর,খুলে দাও উপবাসের গিঁট।
    জল তো বিকল আগুন।
    রাতের ভিতরে নেমে জলসুখ ঢালি।

    বর্ণমালা থেকে এভাবেই কবিতার অনুভব ফুটে উঠলো কোনো অবোধ পাঠকের পাঠ প্রতিক্রিয়ায় ❗



    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন