পিনাকীরঞ্জন সামন্তের  কবিতা

অভিন্নমুখি

১)

ছেঁড়া ঘুমের ভিতর দেখেছি স্বপ্নের পাহাড়
চৌরাস্তায় এসে দেখেছি পথহীন পথের ঠিকানা
ডাক বাক্সে ঋতূর আবির্ভাব
আর অসুখের ভিতর ভিখারির কান্না...
এসব মিলিয়ে মিশিয়ে নতুন এক রেসিপি লিখেছি
বার্নারে আলোকিত রান্নাঘর
আমি আজ চাওমিন খাবো.... ।

২)
সাহিত্যের গুদাম থেকে ফুল তুলে
ছলে বলে কৌশলে...... বাজিমাত
না.... এরকম খেলায় বিশ্বাসী নই বলে 
আমি একজন অপরিচিত 
অ- ভিন্নমুখি .... নবাবী শাহজাদা
ট্রেন থেকে নেমে সোজা গরুর গাড়ি
তারপর মেঠো রাস্তায় ..... বারবার
দেখা পাই তাহার
ঐ সেই অশ্বিনী রায়... 'কী হে খুড়ো
ভালো আছোতো'
আকাশ ও অশ্বিনী হাসতে হাসতে
নীল হয়ে যায় ।।

৩)
এখনো শেখার অনেক বাকি - এইতো সবে
ধারাপাত অধ্যয়ন.... শিশুরা খেলছে মাঠে
অবধারিত বিকেল, রঙিন সূর্যাস্ত এঁকে চলে
সন্ধ্যালগ্নের ছবি.....
পাখিদের যাওয়া আসা যথারীতি
ষোড়শীর বুকে ছলাৎ
বেকার যাযাবর তুমি ও তোমরা
অনুসন্ধান কর এবং দ্যাখ
উন্মাদ রজনীর করাল ছায়ার কী ভীষণ
আক্রমণ... চুপচাপ ঘুমিয়ে পড় ।

৪)
মাঝে মাঝে মনে হয় রঙিন আঁধারগুলো
স্বপ্নে জাগরিত
মাঝে মাঝে মনে হয় রঙিন স্বপ্নগুলো
নিরন্তর অন্ধকারে আবৃত
মাঝে মাঝে মনে হয়......
ইহকালের কিছু চাপান উতর
বর্তমানে সুসজ্জিত
আর আপেল দু টুকরো হলেই... 
শালা....
পৃথিবীর আবর্তন গতি ও মহব্বত
আমার রুমালে ঝিকি ঝিকি ট্রেন
হুইশ্যাল বাজিয়ে..... ।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন