হেমন্ত সরখেলের কবিতা
(১)
ঐকান্তিক
পরী মন,
অর্বুদ যন্ত্রণা ফুটে
যেখানে পায়ে পায়ে জন্মায় যাত্রী
কেন যে ডাকো তাকে সন্ন্যাস বলে
আর তুমি বিষ্ণুপ্রিয়া |
(২)
কাঙাল
যে কোন ছবি
বাড়ি ফেরার রাস্তা ধরে রাখলে
গাছেরা গাঙচিল আর
সবজে ছোপ ছোপ অনিচ্ছা
যাবতীয় হু হু প্রদর্শনী |
(৩)
ধর্মাচরণ
স্নানে আর আচমনে
মেঘ জমতে শুরু হলে
কলঘর আর চুড়ি মায়ের মতো ডাকে না,
এপিটাফে না থাকলেও
এখানেই খুলে যায় মহাপ্রস্থানের দুয়ার |
(৪)
দ্রবণ
বিষণ্ণমাণিক তারা'র দ্বৈরথে এঁকেছিল নিজেকে
এলোচুলে করাল নভ |
যারা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে দেখেছে সে ঝুলন্ত পাথার
জেনেছিল, কার নাম ফাঁসিকাঠ
আর নিয়ামক আসলে বৃক্ষশাখা |
(৫)
গুপ্তধন
নিয়মরক্ষা ক্ষণজন্মা না হলে
মিথ্যে হয়ে যায় জীবাশ্ম
তাকে রাখে না পুঁথি, ডাকে না ইতিহাস
কোলে উঠে বসে না প্রজন্মের রোষ |
হতে পারে মিথ্যে ছবিরা
রাখা আছে মুখআঁটা সত্যের খামে |
(৬)
গুচ্ছমূল
যত শ্লোক
ছড়িয়ে দিল দ্রব্যগুণ
তাদের উইন্ডস্ক্রীনের পেছনে আমরা পেয়েছি প্রম্পটার |
লবন অঙ্গীকৃত হতে চেয়েছিল বলেই
চোখের জল ধরে রেখেছে যবনিকা,
বারবার ফিরে চলা শিশিরের সজ্জায় |
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন