প্রশান্ত গুহমজুমদারের কবিতা

পেয়ালা

৩২। ক্রমে চামচের সন্নিধানে। এই সব গান। ছোট হয়। ভালোবাসা স্তব করে। সরু বাতাসের দিকে যায় ধান্যরেখা। অতি অল্প রক্ত বিজড়িত। ব্যাকরণ অবান্তর করে ফোঁটা ফোঁটা। মানুষের অবান্তর শ্রমে এইসব। শীত। আরো ছোট পোকা। চরাচরে কেবলই হিম। তাহাকে, তোমাকে, আমাকে বিষন্ন,অবশ করে, মায়া

৩৩। এ প্রকারে খেলা হয়। ঐতিহাসিক এবং তুচ্ছ। আমাদেরও কাজ কিছু ছিল। সাংসারিক, হয়ত বা আকীর্ণ মাঠ মনে পড়িতে পারে। অন্ধকার। কেন্দ্র হইতে তাহারা ঘুরিতে থাকে। বৃত্ত বড় হয়। হাতের আড়ালে, বোধ করি লেবেঞ্চুস, সম্মানীয় পতাকা এবং কলহের ক্রোধ। তথাপি খেলা হয়। খেলার অন্দরে ওঠানামা, বন্ধ দরোজা, হত্যাজনিত সাময়িক কটু কোলাহল। তথাপি খেলা। পোড়া গন্ধের কটু দেশে আমরা জলের মাটিতে ছবি আঁকি, স্মৃতির, ভাতের। খাই।  

৩৪। টমেটোর সহিত এই অন্বয়, বহু দশকের পর, বস্তুত অপ্রস্তুত ছিলাম। ছিল তো জনসংযোগের কথা! বর্তমান অথচ কমলালেবুর সহিত। অনুবাদে, সঙ্গমে। শব্দ দ্বিতীয় হইল না উচ্চারণে। রাত্রি, অতএব। এক ভারচ্যুয়াল সিম্ফনি। নৈঃশব্দের। রক্তের। তাহার অপূর্বে। দেখিলাম এমন প্রতিভা। সন্তরণের। দর্শনের। অসামান্যে অদূরেই ভোর। অপেক্ষায়। দুই হাতে মায়া। কিছু টের পাই, তৃষ্ণার। অথচ পুনরায় বৃত্তেরই চোখে। টমেটো কিংবা অবিস্মরণীয় কমলালেবু, সে ক্ষণে নির্বাক। কোথায় যাইব? রহিল কোথায়!  

৩৫। দরোজা বলিয়া কিছু জানি। তাহা পাকঘর অথবা ঠাকুর। এ ব্যতীত এক ‘টুকু’ আছে। সংশয় সেখানেই। মা অথবা বাবা, মনে মাত্র। মিথ্যা সুতোসব তুলি। তুলি, সামান্য, ঘোড়ার লেজের এবং ভাবিতে থাকি, দরোজা। সাদা, কালো, ধূসর। অনুসন্ধানে থাকি। আপাতত তোমার পা দুটি। একবার রঙীন করি, অনুমতি দাও। যদি সঙ্গ পাই। যদি আবিষ্কার। বিজনে, সারসের অলৌকিক অধিবাসে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন