দেবীপ্রসাদ বটব্যালের কবিতা
০
তোমার নাম শুনলেই কোষ'কন্দরে
মৈথুন শব্দটি হিসহিস করে ওঠে
এভাবেই সন্ধ্যা'আরতি কীর্তনে যে মেয়েটির
ভাবের বোতাম খুলে যায়
উরু,বুকে
তার গুরুচরণ বাঁধা
১
অখিলবন্ধু শুনতে শুনতে আমার কথা
ভুলে ছিলে
"ভালোবাসার দেশটা আমার--"""
কাঁদতে গিয়ে মনে পড়লো
রূপঙ্কর শুনতে মশগুল, নুন দিতে ভুলেছ কিনা
ধোকার ডালনায়
"---- তোমার টানে সারা বেলার গানে----""
২
মেয়েটি ভেবেছিল, খুব স্বাভাবিক ।
বাবা একটি পৈঠা
দাদা একটি
ভাই
প্রেমিক
এবং স্বামী---
এই
পুরুষগুলি, এবং
একটি ঝুনুমুনু পরকীয়া পৈঠায় পা
রাখলে --- ম ম রসুনগন্ধ
হ্যাঁ,
আমি তোমার মাখোমাখো ম্যারিনেটের কথাই বলছি কামাক্ষী
৩
অতঃপর খেজুরগাছ
শুকনো ভাঁড়ের টান জানান দেয়
বিয়ন'শেষের ঋতুলোপ
প্রৌঢ়ার স্তন গেছোর হাঁসুয়ার ধার পরখ করে
যে দাঁতে
সে রাতে নরেন মিত্তির 'রসে'র চেয়েও
সাংঘাতিক জলের আলাপ
৪
বিশ্বাস কে কেউ অত নিমপাতা খাওয়ায় নাকি!
মাঝে মধ্যে বেগুন দিতে হয়
ঠোঁট থেকে খসে পড়ে চুমু
মাটির গর্ভে
লজ্জাবতী লতার আঙুলে
বরফ ঠেকিয়ে দিতেই
ট্যাঁক্ ঘড়িটি, হাতঘড়ি হয়ে গেল
৫
এই যে জলঢোঁড়ার মতো আলাপ আপনাদের
যা কখনোই অন্তরা অব্দি গড়ায়নি
পেটে চালানী ব্যাঙ
কিছু কিছু সম্পর্কের
আকাশ থাকে না
মাঝেমধ্যে করুনা করে লেখাগুলো পড়েন বটে
তবে জেনে রাখুন
দয়া একটি গুণ মাত্র, হয়তো দোষও
৬
রাতের মধ্যে রাত ঢুকিয়ে বসে আছো ।
সূর্য জ্বালাতে হয়
অথচ ভয় পাও । আলো
এতোটা মুশকিলে প্রথমবারের মতো
হয়তো ভুল করেই হবে
ভুল করে
মাথার মধ্যে রাত ঢুকিয়ে বসে আছো
ভালো লাগলো
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন