নীপবীথি ভৌমিকের কবিতা 

১)  
বাক্যালাপ দীর্ঘদিনের ইতিহাস।
   কুড়িয়ে কুড়িয়ে ছায়া তুলেছি, আলোকে ভেঙেছি অন্ধকারের আতিশয্যে

    এক্কা দোক্কা দিনের সাথে মিল খুঁজে পাই 
     আজকাল খড় মুখে এনে বাসা বেঁধে যাওয়া সময়গুলোর

   হাত বাড়ালেই সবাই বন্ধু হতে আসে। 
     অথচ বন্ধু হয়ে গেলেই কেউ কি আর হাত এগিয়ে ‌দেয় জীবন ছুঁয়ে ?

২) 
খিদে পেলে আমরা বসে পড়ি অনন্ত‌ ‌আকাশের  নিচে
  কুড়িয়ে নিই সুখ, মুঠো ভর্তি রোদ আর পাখির ঠিকানা

    খিদে পেলে ঠিকানাই ভুলে যাই।
      আশ্রয়হীন হয়ে জীবন শুরু করি প্রাচীন গার্হস্থ্য জীবনে।

৩)
মাঝে মাঝে আগুন লেগে যায় বন থেকে বনপথে, দাবানলের শিখার স্পর্শ ছুঁয়ে ছুঁয়ে বাড়ে ক্রমশ উত্তপ্ত অনল শ্লোক, বিদীর্ণ স্বর,

 মাঝে মাঝে আগুন লাগে। শব্দে শব্দে,কিংবা নিঃশব্দ অক্ষরে,
 নামে মরুভূমির পথে ধুলো ওড়া বজ্রাঘাত...

  ব্যর্থ বৃষ্টিজল শুধু বৃষ্টিহীন পথের হাতে ধরা দেয়,  অক্ষর ছুঁয়ে শব্দের ঢেউয়ে ঢেউ মেলায় না।
  
৪)  
ব্যক্তিগত শোক নিভে গেলে মাটিও পাথর হয়ে ওঠে নিরব হাহাকারে

   জল শুকিয়ে যায়, হারিয়ে যায় প্রাচীন স্পর্শের গান
  নীরবতা ভেঙে বেরিয়ে আসে ক্রমশঃ
    মুখোশ পরা স্বপ্ন আর আলোর দিনলিপি

  ব্যক্তিগত শোক নিভে গেলে
    যাবতীয় অন্ধকার গুমরে ওঠে একাকীত্বের  বাসনায়।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন