নিখিলকুমার সরকারের কবিতা
খেলা ... বাই-প্রোডাক্ট
১.
খেলা হচ্ছে হোক ...
এ আর নতুন নয়,
ঘটনা অথবা অঘটন।
খেলা তো সর্বজনীন,
ডিএনএ বাহিত পরম্পরা,
ক্রম-বিবর্তিত চিরন্তন।
২.
খেলা যদি উৎসব, যুদ্ধ-পার্বণ, অনিবার্য শোক
এসো মুর্খ, সামাজিক,
মূক ও মুখর, ভুবনডাঙার
অগ্নি-জল, অন্তরিক্ষে
খেলা শুরু হোক ...
৩.
অনিত্য এই ক্রীড়াঙ্গনে
প্রতিপক্ষ নেই, আছে
জয়-পরাজয় , আর
আত্মরতিময়
স্বেচ্ছাচারী কাট-আউট
নানান বিভঙ্গে ...
খেলা যখন নিজের সঙ্গে ।
৪.
খেলা অচ্ছেদ্য বন্ধন,
আলোর বিমুক্তি, আত্ম-পরিত্রাণ ... জানে
মোহান্ত সন্ন্যাসী , জেনেছে
মোহগ্রস্ত লেসবিয়ান ।
৫.
খেলতে খেলতে
হারিয়ে গেছে যারা,
তাদের মুখে মাস্ক ছিল না।
খেলছে যারা, তাদের মুখেও মাস্ক নেই ---
থোড়াই কেয়ার
সুপার স্প্রেডার খেলা আছে খেলাতেই ...
৬.
আমার সর্ব অঙ্গ ধুলোয় মাখামাখি , খেলা-ধুলো ...
বহুগামী ধুলো পৌঁছে গেছে
পাখিডাকা খাঁচার শরীরে,
কাছে ও দূরের যত
অনলাইন সম্পর্ক-মায়ায়,
অবিন্যস্ত পাণ্ডুলিপির ভেতরেও উড়ে এসে
জমেছে ধুলো,
যশোদি-অতীত যশোদির
ঝুলবারান্দার
প্রোফাইল পিকচারে...
এখন দেখার ---
কখন কীভাবে ধুলো
বিনির্মিত হবে বাংলাকবিতায়, সংক্রামক
ধুলোর পোর্টালে সক্রিয় হবে, খেলার নতুন স্ট্রেইন।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন