সমীরণ কুণ্ডুর কবিতা

সোনাল এক বিরল প্রজাতি

১.
করোটির সামনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষমান যাঁরা বর্শা উঁচিয়ে রেখেছে। ধুম্রকুণ্ডলী সহ প্রাচীন মনোরথ। অহোরাত্র পৃথিবী ও তার শব্দ পিচ্ছিলতা। চাষাবাদের বিপরীতে জলীয় পাহাড়ের আকুতি। ক্রিয়াপদ ছেঁড়া টুকরো। কঠিনতম সব ধাঁধা অনুত্তীর্ণ। বিচ্যুত অথবা ছেদহীন রেখার উপর অনন্তের পথে যাঁরা বিনয়ী আপাতত।  আমিও তীর্থ-পথিক মেনে নিয়েছি অবান্তর চলে যাওয়া।  


২.
যজ্ঞাধারে একাকি স্বঘোষিত কল্পদ্রুম। অক্ষর আয়োজিত সভায় বনজ সম্ভার। যে কোনো বিষয় নিয়ে নিস্তার চাইছে মূল্য। কী তার সমর্পণ? নাকি শির উঁচানো আনন্দে পদ্মফোটা নিশি? উভয় দিকে সৌন্দর্য সেঁধিয়ে রেখেছে চাঁদ। সমিধ বৃক্ষের ছেড়ে যাওয়া আত্মাহুতি। অথচ সৌজন্য বহির্ভূত এক বিস্মৃতপ্রায় নবীনা অসম্মতি জানিয়ে গেলেন। দ্বৈরথ নিয়ে পুনর্মুদ্রিত ছায়ারাগ পুড়ছে।


৩.
ধরা গেলো একদিন অবসান হবে। তিনি এলেন মহাবোধি সোসাইটি হল ঘরের সামনে। তখন মধ্যরাতের নীরবতা। ওদিকে সেবকের ধারে তিস্তাকে নিয়ে কোনো মন্দিরের চাতাল। আমি কাব্য নির্মাণের এক ও অনন্য দ্যোতনা, স্রোত ধরে আছি। তার প্রাচীনত্বে কোনো বিতর্ক নেই। বাতাসের ঝুরো মেঘ শুকনো তবে ঠাণ্ডা। দেখালাম উৎসর্গের পাতা ও প্রচ্ছদ। জলে ভিজলেও বিপন্নতার ঝুঁকি শূন্য।


৪.
আগ্রহ সংকীর্ণতাকে প্রশ্রয় দেবার পর বৃহত্তর 
উন্মাদনা দেখা গেলো। এর উত্থান যদিও বা অভ্যাসের প্রাক নির্বাচনী ব্যাপার। একেবারে নিজস্ব দৃষ্টিকোণ আশ্রিত কোনো রমণ-ধ্বনি। দীর্ঘ বিরতিকে প্রস্তুতির অংশ হিসাবে তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে সমকোণ। পালানোর প্রশ্ন নেই। অরণ্যের নিরাপদ ঘনত্বে সম্মতি মানে তৃপ্তির প্রসঙ্গ আসবে। একটি পরম বীজের দর্শন সেইহেতু ক্রমাগত ভবিষ্যৎ। কে বা কারা ঠোঁট বাঁকিয়ে ঊর্ধ্বমুখী? এবং ভারসাম্যের নিরিখে আলোচ্য হতে পারে ফিরিয়ে নেবার কৌতুহল


৫.
বিধি নিষেধের আওতায় সংস্কারচ্ছন্ন আলো। প্রতিবর্তে রাখা আছে বোধ ও তার অন্তর্জগৎ। তিনি জানালেন বাহ্য এড়িয়ে বনের গভীরতা এবং পরিচর্যা। এই যে ঘন যাতায়াত, কূলপ্রসাধনী --- অপেক্ষা ছাড়া উপায় নেই। তাঁর প্রত্যাবর্তনে অসম্ভব টান। অন্যথায় দেহ উদ্বায়ী হলেও সর্বজনীন কি? চমৎকার এই বিতর্কপ্রভা। ন্যূনতম দাবির সত্যাসত্য। পরিণত আবেদন নিয়ে আয়ু ধার্মিকেরা। 

ত্রিকোণ পার্কের ধারে আকাশের রঙ জলাশয়কে নীল করেছে। সরিয়ে রাখা কি অতোই সহজ? তিনি দেখাচ্ছেন জলপাখিদের রমণ ও কেচ্ছা, শীৎকারে উচ্ছ্বসিত বর্ণনার জাদু। তারপরও বলবে নগ্নভার খুব অসহ্য?


৬.
বহুলাংশ অতিক্রমের পর তাৎপর্যের নমুনা ধরে রাখা গেলো না। নিখোঁজ পর্বে যে সব মুহূর্তেরা সাক্ষী। ভাসিয়ে নিয়েছিলো কুঠী। যার প্রথম আবেদন : সরস্বতী যুদ্ধের দেবী ছিলেন। উদ্বৃত্ত চোখে পড়েনি। একটি অকস্মাৎ শীর্ষ তখনই লক্ষ্যে অবিচল। আমি মেধা ডুবিয়ে বসে আছি অগোছালো। 

তেরো নদী পেরিয়ে সে ফিরবে কি সত্যি?


৭.
প্রতিভা মুখ বই-য়ে উঁকি মারতে সুন্দর ফুটে উঠলো। তরঙ্গ একদিন ফিরবে যে রাতে চাঁদ পূর্ণিমা ছাড়া অব্যক্ত। ছেদহীন অমাবস্যা যেখানে মধ্যমণি। নদীর পাড় ধরে বুদ্বুদ ও আঁকশি একত্রে ছবি এঁকে রেখেছে। মুহূর্তের ব্যবহার রঙিন অথবা বর্ণান্ধ। উচ্চবাচ্য নেই দেখে শূন্য বসিয়ে দিলেন অমীমাংসিত কেউ। মহাকাব্য মানে বিরল অনুভূতি সন্তর্পনে রক্ষা করছে ইতিহাস। আমি ছায়া-বশবর্তী সংক্ষিপ্ত পালোয়ান। ভ্রূক্ষেপ নেই কোঁচকানো আড়াল থেকে বিপন্নতা ঢেলে চলেছি। এখুনি বর্ষণের পূর্বাভাস নিয়ে নতুন কথারা আসবে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন