সৌরভ বর্ধনের কবিতা
মোটিফ
১.
বিভিন্ন ফুলগাছে একসাথে ফল আঁকি আমি
বিভিন্ন করাত কল একসাথে চিরে নিই খাবারে
আমি শস্যবতী সেবিকার জ্ঞানমগ্ন জানুতে
বেঁধেছি তারামাছের বাজু, ঠোঁটস্থ করেছি চাষাবাদ
নিজেরই মাথা
নত করে দিয়েছি তাহার চরণ ধূলার স্থলে
আমি শ্যাওলা-শূন্য অবস্থায়
ত্রিকাল কুষ্মাণ্ড গ্রোথের গভীরে, আলে আলে
বিছিয়ে দিয়েছি কীট ও কীটঘ্ন সূঁচ --------
ফিরে এসো, লীলাবতী মুমূর্ষু আমার
এসো এই হীরকমূর্তের যাঁতাকলে
অগভীর সমুদ্রখাতের কারণে তোমার
বিবাগী হওয়ার ঋণ শেষ; এখন শেষটাও
মাড়িয়ে ফেলেছো তুমি ------- মারানি খোসার বুদবুদ!
চলো ডুব দিই বিড়বিড় করপুটে
চলো পঞ্চপ্রদীপ করে ধরে অশান্ত করি বিছানাসমগ্র
ভারি হয়ে বসে থাকি যুবতী সাপের কোলে
অন্তত দক্ষিন বাল্ব হতে হিমযুগ পেরিয়ে যাক লঘুপদে
২.
কাচের কৌমার্য ছেড়ে উঠি এখন
অযৌন জননের প্রতি মোহবিষ্ঠা নিয়ে
অ্যাশ-শ্যাওড়ার ডালে বসে আছে ফিতে -----
কর্নিকের সোহাগ দিয়ে গাঁথা বদ্বীপ
প্রবীণ শরৎকে কাছে ডেকে করছে গড়াগড়িমসি
চুমিয়া সকল বেঁজিরে, শেয়ালেরে বেসে ভালো
তুমি এসেছো নূতন প্রাতে, এসে গিলেছো
মদ্যমাক্ত আমার সব দেহ, আমার স্পর্শ
চেঁটেছো ডৌলমান স্তনজলে দাঁড়িয়ে -------
অতঃপর এই ক্লেদ, এই পাকানো জটের মহড়ায়
আমি অভিসারী লোভের ক্ষত;
চমৎকার লোভ ও কটাক্ষ হাতে
ছেয়ে গেছে বিবেকী সংক্রমণের পথঘাট।
ফলত, গ্রামের উপান্তে এসে আজ
স্বেদে আবর্তে উদ্বোধিত ভয়ে
আমার খাটের তলদেশ, নাভিকুণ্ড রটে যায় কবরে কবরে :
চাকা জেগে উঠেছে, দড়ি ধরো প্রিয়তম, মূলে এসে
আলজিভ বাঁধো, বাঁধো নিজস্ব কৃশ, নিজ নিজ হাতিয়ার
গভীরতম জাহাজের ধূম্রতায় মুষড়ে পড়ো আবার
অথচ প্রলেপ ধরে উঠে দাঁড়ালে
তোমাকে দেখতে লাগবে অবিকল স্ফটিক পাটাতন ------
৩.
মোচার অটুট দিয়ে এতদিন
সবুজাভ মশার কদর খেয়েছি আমি
আমার গোঙানির ওপর সেই মায়া লেগে আছে আজও
আমি পীনোদ্ধত -----
আহা উত্তাপ, অতর্কিত হও
আমি ইরেকটাসের সঙ্গম
আমি তৈল-সিঁন্দুর চর্বিত চর্বণপ্রাশের জীবনেশা!
রক্তাধীন কালো হাড়ের ত্বরিতে চেপে
বৃহৎ এক প্রতিসরণের হেতু
নামছি তিলফেটে, শিখরসহ উবড়ে যাচ্ছে চোখ ----
যেন এই অকস্মাৎ বৃষ্টি হলাম
যেন এই প্রথম যৌন হলাম আমি
আর বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেলো চরাচর!
আমার জঙ্ঘায় ক্লোরোফিল আর জ্যান্থোফিলের
আধিক্য ----- এমনকি বেতোঘোড়ার জমঘটও!
তার জটায়ুতে মুখ রেখে আমি প্রেমের গন্ধ সুখী
অর্ধভুক্ত ছায়ার শেকড় খেতে দিই তাকে ----
তিনি বন ও বিটপের দেবী
নিজের হস্তচালিত ডানায় ঝাঁপটিয়ে চলেছেন
বাষ্পের ঋণাত্মক আয়নগুলির ঘূর্ণ্যমান ডাঁই...
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন