[ হ্যালো আমি বাদল ধারা, ১৯৯ দিন অন্তরীণ ছিলাম কিংবা ছিলাম না ~ এই ব্রহ্মাণ্ডে ]
পরিব্রাজক চিহ্ন (~) সম্পর্কে, শূন্যতার সার্কেল (২০১৭) এই কাব্যে(কাব্যগ্রন্থে) আমি একটি ভূমিকা সংযুক্ত করেছি এবং আমার দ্বিতীয় কাব্য, তিন সমস্ত সাত ভাগের এক (২০২০) কাব্যেও সংযুক্ত করেছি। এবং পরিব্রাজক চিহ্ন নিয়ে বিগত এক দশক এর
বেশি সময় নিয়ে আমি কাজ করছি, যার স্বাক্ষর পাওয়া যাবে, ড. দেলওয়ার হোসেন সম্পাদিত কবিতা পত্রে, সুমন দীপ সম্পাদিত দেশলাই পত্রিকাতে, কবি অরবিন্দ চক্রবর্তী সম্পাদিত কবিতা সংকলন গ্রন্থে, সমকাল পত্রিকার সাহিত্য সাময়িকী কালের খেয়ায়, এবং বিভিন্ন সাহিত্য পত্রিকা ও সাহিত্য ওয়েব পত্রিকায়।
বিশ্ব সাহিত্যে আমিই একমাত্র, যে বাক্যের মধ্যে পরিব্রাজক চিহ্ন "~" ব্যবহার করেছি এক স্বতন্ত্র সংজ্ঞার মাধ্যমে। এখন অনেকেই বুঝে এবং না-বুঝে, পরিব্রাজক চিহ্ন (~) ব্যবহার করছে। তাদেরকেও স্বাগতম, শূন্যতার সার্কেল ও তিন সমস্ত সাত ভাগের এক এর পক্ষ থেকে,
নিন্মে শূন্যতার সার্কেল ( ২০১৭) কাব্য থেকে,
পরিব্রাজক (~) চিহ্ন সম্পর্কিত ভূমিকা :-
..... গাণিতিক প্রকাশ ভঙ্গিতে প্রায় আসন্ন মান ( গুণ, অবস্থান বা সংখ্যা ) বুঝাতে অ্যাপ্রক্সিমেট ( ~ ) চিহ্ন ব্যবহার করা হয়,
যা ( ~ ) গাণিতিক ক্ষেত্র থেকে সরাসরি উড়ে এসে আমার কবিতার পঙক্তিতে পঙক্তিতে ডুবে গেছে এবং এর ( ~ ) বৈশিষ্ট্য ক্রমাগত পাল্টে গিয়ে বহুমাত্রিক হয়ে ওঠেছে
এবং এই বহুমাত্রিক ( ~ ) এর, আমি নাম দিয়েছি পরিব্রাজক ( ~ )
পরিব্রাজক ( ~ ) আমাকে সকল সম্ভাবনার নিরন্তর গুপ্ত ও অগুপ্ত জগতে নিয়ে যায় আর পরিব্রাজক ( ~ ) ক্রমাগত হয়ে ওঠে নিরন্তর সময় ভ্রমণ, তাই আমার কাব্যে পরিব্রাজক ( ~ ) কোনো বিরামচিহ্ন নয়
পরিব্রাজক এ এসে আমি ন্যানো সেকেন্ডে পার হয়ে যেতে পারি এক জগৎ থেকে আর এক জগতে
ডুবে যেতে পারি নিরন্তর সময়ের পলে পলে,ঢুকে যেতে পারি বহুবিশ্বে, মহাজাগতিক বহুমাত্রিক দৃশ্য দৃশ্যে ~ দৃশ্যান্তরে,থেমে থাকতে পারি ইচ্ছে মতো
~
প্রিয় শূন্যতা, আমার বহুমাত্রিক জগতে স্বাগতম .....
~
১)
তৃষ্ণায়োটি ফ্রিকোয়েন্সি...
~
শৃঙ্গার গিগাহার্জ ~ স্পৃহা তাড়িত
, স্পাইরাল টানেল ~ দিগ্বিদিক ~ হ্যালো, হ্যালো →
মহাজাগতিক, বক্রতায় ~ ভেসে যাচ্ছি
বেতার তরঙ্গ, উস্কে দিচ্ছে ~ দূরবীক্ষণ
দৃশ্য থেকে ~ ছড়িয়ে যাচ্ছে ~ ঘ্রাণ
..., আন্তঃনাক্ষত্রিক ~ ভ্রমণ ~ শেষে ,...
এই মন তৃষ্ণায়োটি,অফুরন্ত ~ অনির্ণয় তৃষ্ণায় →
~
২)
শূস্বা ব্যঞ্জনা...
~
শূন্যম্ ~ শূন্যম্ থেকে ~ বৃক্ষ, নদী →
যে কোনো ফল ~ বক্রতার সমষ্টি
যে কোনো বক্রতায় ~ উজানভাটির ~ সুর বহে
কিছু কিছু উপপাদ্যের ~ স্বাধীন ডানা থাকে
বৃত্তরেখা, বক্র হয়েও ~ সুষম
পরিধি ~ ভেঙে, উড়ে যাচ্ছে ~ ঙ
~
৩)
চিহ্নন্দ্রিয় তরঙ্গ...
~
× সংক্রান্ত তাড়না ~ কম্পাঙ্ক
÷ আক্রান্ত মানচিত্র ~ তল,অতল,অন্তরীক্ষ
+/- নিশ্বাস ~ আ আথবা উ, ক্ষ...
~
৪)
অন্তঃস্পন্দন, এলিয়েন ~ ন...
~
কিছু যুক্ত বর্ণে অন্তরীণ থাকে, এলিয়েন ~ ন
কল্পচিত্র ভাবছে ~ দূর চিত্রকল্প
মালঞ্চ আঁধারে ফুটছে ~ আলো
গুঞ্জন থেকে টলোরব ~ উড়ছে ~ ঞ্জ
উড়বর্ত নিয়ে যাচ্ছে ~ অনাঘ্রাত ~ ব্রহ্মাণ্ডে
দৃশ্যাতীতদৃশ্য ~ ভাষাহীনভাষা ~ ইশারা আড়াল হচ্ছে
~
৫)
সর্পিল, 1/2 (হাফ) স্পিন ~ ব্রহ্মাণ্ড...
~
1/2 স্পিন, ঘুরে এসে ~ ভাবা যাক
কতটা রূপ, পাল্টালো ~ ব্রহ্মাণ্ড →
অস্তিত্ব ভেঙে আছে ~ কক্ষপথ, কক্ষপথে
পৃথিবী কী ~ ডুবে যাওয়ার ~ অপেক্ষায়
নাকি, ফেটে গেছে ~ বহুদূূরপূর্বে ... , ...
ধূপিঙ্গল ~ নীল নীল, প্রতিবিম্ব, +/- মায়া
অদ্ভুতুড়ে সুড়ঙ্গ সুর ~ সর্পিল মাদকতা
আকর্ষণ বিকর্ষণো ~ আদি অন্ত ~ ঞ্জ, হ্ম, ক্ষ
~
৬)
অনন্ত উড়বর্ত
~
শত শত অশ্বত্থ ~ শত সহস্র ব্যাথা নিয়ে ডুবে গেলো
মা রে সা ~ না রে সা ~ রা ধে না
আ রে আ ~ আ রে আ ~ আ রে আ
উ এ না ~ এ ও না ~ না রে না
যত চোখ ~ যত প্রকাশ ~ তার চেয়ে ~ গহীন, গোপন অশ্রু
শ্রু শ্বা শ্রু ~ শ্রু শ্বা শ্রু ~ অ আ উ
ঙ ঊ ~ ক্ষ শ্রু ~ না রে ~ রা ধে
ভূগর্ত, ভূভাগ ~ টেকটোনিক প্লেট ভেঙে যাচ্ছে
বাদল ধারা, নিজের ধারায়ই লিখে, সে দেখেছি তার জ্ঞাণিতিক চিহ্নের ভাষাগত ব্যাবহার। বাদল নতুন কিছু বলতে চায়, নতুন করেই। সে কবির নিজস্ব বিষয়। কবি তার নির্মাণের প্রকরণের ব্যাপারে পুরাই স্বাধীন, নিরীক্ষা কবিরাই করেন। বাদল আমার প্রিয় মানুষ কবিও। তিনিই বুঝবেন তার গতিপথ কোন দিন থেকে কোন দিকে যাবে। শুভ কামনা।
উত্তরমুছুনঅনুপ্রাণিত হলাম দাদা, ❤️
মুছুন~
অফুরন্ত ভালোবাসা ও
নিরন্তর শুভ কামনা, 🌻
বাদল ধারা, একটি অভিনব কাব্যের উদ্গাতা । এই ধারাটির জীবানায়ু কদ্দুর জানি না । তবে আমার মত অঙ্কে কাঁচা , অঙ্কে আতঙ্কিতরা এই কবিতার রস কতখানি গ্রহণ করবে সেটাই বিবেচ্য । আমার পুরো ছাত্রজীবনটা কেটেছে গণিতের আন্তঙ্কে ।
উত্তরমুছুনঅনুপ্রাণিত হলাম দাদা, 💜
মুছুন~
অফুরন্ত ভালোবাসা ও
নিরন্তর শুভ কামনা, 🌹
অসাধারন কবিতা।দেখা এবং অদেখার মাঝে দূরত্ব ~ যোজন।এর কোন সীমানা পিলারও নেই।তবে সকল কিছুই দেখা যায়।অনুধাবন করা যায়।যখন পাঠকের গভীরে বিগ ব্যাং এর সৃষ্টি হয়।- বেতার তরঙ্গ,উস্কে দিচ্ছে ~ দূরবীক্ষন।
উত্তরমুছুনআন্তরিক ধন্যবাদ ও
উত্তরমুছুননিরন্তর শুভ কামনা, ❤️
নতুন আঙ্গিকের কবি বাদল ধারাকে স্বগতম। কবিতায় অভিনব তাঁর নিরীক্ষা। ধারাটি সবল হোক।
উত্তরমুছুনআন্তরিক ধন্যবাদ ও
মুছুনঅফুরন্ত ভালোবাসা, ❤️
বাংলা সাহিত্যে গাণিতিক চিহ্নের সংযোজন বাদল ধারাকে সমুজ্জল করবে।
উত্তরমুছুনঅনুপ্রাণিত হলাম দাদা
মুছুনআন্তরিক ধন্যবাদ, ♥️
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন