ইমনে বাজে নীল
তুমি কাছে ডাকলেই বৃষ্টি ভেঙে কাঁচুমাচু গার্হস্থ্য 
মাদুরে লাব-ডুব লাব-ডুব আকাশের বাতাবি 
অক্টোবর মানেই বয়ান থেকে নাভিতে রটে যাওয়া সূর্য
অস্পষ্ট ঘুম আমাকে দেখে
                   ঘর বদলে ছায়া
                                    জল বদলে শকুন্তলা

চাঁদের গ্রাস নিই মুখে
ঢেঁকুরে শব্দের সাইকেল


রাস্তা ও তার দৈর্ঘ্যে ফুরফুরে হচ্ছে গুলজার...






অবচেতন
চাঁদ-ই চাঁদের সংক্ষিপ্ত 
বাতাস রঙের বেড়াল ঘর বিনিময় করে পিঁপড়ের ভাষায় 
যে ভাষা কেউ বলতে জানল না 
চাঁদের কাদায় হাবুডুবু খাচ্ছে জলের আহা!

ব-কলম বিছানা হরদম দ্রুত 
এখানেই উদিত পুকুর 
ন্যাড়া জল লেজ নাড়ে 
জলেই তো সব প্যাঁচ-ঘোঁচ

আমি জেগে থাকি, জল শুয়ে থাকে একই বিছানায় 
পুকুরের চালে হ্যারিকেনে ডুবে যায় বেড়াল








নীল শব্দ
সব শব্দকেই তো ফিরে যেতে হয় কোনো নিঃশব্দে
হার্দ্য হুইসেল নৌকোয় খেলা রেখে গোপন অবধি নীয়মান
পাখি বাজে
বেজেই যায়
পচা পিঁপড়ে টেনে নিয়ে যাচ্ছে বসন্ত
ভাঙাচোরা চাঁদ ভাত আঁকে কাজলের নীলে
ঘরময় চকোলেটের শব্দ ঝরছে তো ঝরছে
ডার্ক
পাখি লেপটায়
আমিও
মাটি আর নীল একে অপরের দৈর্ঘ্যে...






হ্যালুসিনেশন
এই সেই ঋণাত্মক বেড়াল 
কেউ দেখছে, কেউ নয় 
লিঙ্গ পরিয়ে দিয়েছিলো ছায়ার অনুষঙ্গে
সে আজও সমর্থন করে শরীর
স্কেল দিয়ে মেপে দেখি ফাটাজল নাভি ঘনিয়ে পাখির ভেতর
নীল খামচে বেড়াল তুলতুল
একবার বেড়াল

                একবার আড়াল

                                ফুঁ-তেই ফুস
হ্যালো ঢেউ! নৌকো ধরো
স্থানীয় করো অতিক্রম
দু-চামচ বেড়াল কোমর-চাঁদে ছায়াভরতি বিপরীত...






বেড়াল
ব্র্যাকেটের ভেতর একটা সাইকেল ও দেড় ইঞ্চি ঘর
ব্র্যাকেটের বাইরে চার অক্ষরের বেড়াল
নীলাকার
সাইকেল নড়ে, চাঁদ ওড়ে
মাংসের চালে ঘরের মুখোমুখি অবাক
বেড়াল ডাকে না, বাঁকে

গুনাহ করার আগে এক বিন্দু ছায়া যেভাবে গুটিয়ে ফেলে চাকা
সাইকেল টু সাইকেল
নীল-কে-নীল
মাটি ধরে এগিয়ে যায় ঘর

খণ্ড খণ্ড বেড়াল রাস্তার কায়দায় ঠুকরে যাচ্ছে চাঁদ...












নীলিমা দেব

জন্ম : উত্তর ত্রিপুরার ৮২-মাইল। ১৯৮৩। 
বিজ্ঞানে স্নাতক এবং বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশনে স্নাতকোত্তর। 
শূন্য দশকের কবি পেশায় একজন শিক্ষিকা। বর্তমানে দক্ষিণ ভারতের চেন্নাই-এ কর্মরত। 

প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থ : 
১) ব্যক্তিগত অরণ্য 
২) ইমনে বাজে নীল

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন