আজ সেই নক্ষত্রের জন্মদিন,
রাজশ্রী বন্দ্যোপাধ্যায় 

কোথা থেকে শুরু করতে হবে ভাবতে ভাবতে এক আলোকবর্ষ পথ অতিক্রম করে ফেললাম, তবু উপযুক্ত শব্দগুলো দিয়ে কথামালা সাজাতে পারলাম কই! আসলে সামনের রাস্তাটার উৎস আর শেষ কোনটাই যে জানা নেই! জানাটাও সম্ভব নয়৷ আচ্ছা বলুন তো একটা মহীরুহ কত অগণিত তৃণ, চারাগাছকে তাঁর ছায়ায় আগলে রাখে, তারও কী হিসেব রাখা সম্ভব! তেমনই এই অনন্ত রাস্তাটারও, যার সামনে এখন আমি দাঁড়িয়ে আছি তার দৈর্ঘ্য প্রস্থ সম্পর্কে সম্মুখ ধারণা থাকাও একেবারই দুরূহ৷

                                  তাঁর মধ্যে  সমুদ্রের গর্জন শুনেছি আবার গোধূলির পরন্তপ বিভায় ঘরে ফিরে আসা পাখিদের আশ্চর্য মায়ামাখা আবেগের সুরও শুনেছি৷ একটা নতুন সূর্যোদয়ের বার্তা৷ ঝিম ধরে আসা সমাজের গায়ে ডোরাকাটা বাঘের ক্ষিপ্রতা জেগেছে তাঁর আশ্চর্য শব্দের মায়াজালে৷ একটা যুগ৷ একটা নতুন যুগের সূচনা৷ একটা রেঁনেসাস৷ পোস্ট মর্ডানিজম বা যে নামেই চিহ্নিত করা হোক না কেন, আসলে তো ছক ভাঙ্গা, আসলে তো চিরন্তনের চৌকাঠ পেরিয়ে নতুন হাওয়া পালে লাগিয়ে তরতর করে বেয়ে চলা তরী৷ এ যেন প্রজাপতির গায়ে আগুন বলয়, এ যেন সমুদ্রের ঢেউয়ের মাথায় সোনার মুকুট, এ যেন তেপান্তরের মাঠে মারমেইডদের জলসা৷

                                    বাস্তব অবাস্তব অতিবাস্তবের বিভাজিকা না টেনে অনন্ত প্রকাশে শুধু নিজের সত্তাকে দ্বিধাহীনভাবে প্রকাশ করা, উন্মুক্ত করার নাম জীবন৷ আর জীবন থেকে উঠে আসা মুহূর্তরা কবিতা৷ কবিতার আলোকময় দ্যুতি নিয়ে তিনি যেন আমাদের সকলের অন্তরাত্মার মধ্যে খন্ডিত বিখন্ডিত হয়ে রয়েছেন৷ হৃদয় দিয়ে অনুভব করা যায় সেই অস্তিত্বকে৷ যেন কবিতার তীর্থক্ষেত্রে বসে সস্নেহে মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছেন সর্বদাই৷ এক আকাশ সুস্থতা আর তাজা ফুলের জীবনী শক্তি প্রার্থনা করি৷ হৃদয়ের অন্তস্তল থেকে উঠে আসা শ্রদ্ধা স্পর্শ করুক তাঁর চরণ৷

                                      আজ সেই নক্ষত্রের জন্মদিন, যিনি প্রভাতের মত উজ্জল,  যিনি সূর্যের মত  আলোকিত করেন আকাশ আর আমরা সব ছড়িয়ে থাকা গ্রহেরা তাঁর আলো ধার করে আলোকিত হই৷
                  
                      শুভ জন্মদিন৷ শ্রদ্ধা অবনত                                                                              
                       রইলাম, আশিসের লোভে৷৷     

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন