মাঝ দরিয়ায় আকুলিবিকুলি :

ল্যাংটোপ্রভাত হাতড়াই

স্বপন দত্ত

ক-ছিলিম টানলে ক-কিসিম স্বপ্ন ওড়ে সবকটা ঘড়ি রং চরে বারোঘর বারোবিলাসিনীর জ্যামিতিতে শোয়ার আগে ও পরে বারোটা বেজে যাওয়া স্ট্রোক পড়ে, পড়তেই থাকে

চাপচাপ প্রভাত। টলটলে আনন্দ বাঁচা যন্ত্রণা নিয়ে একটা স্বরলিপি তোর বুকের মধ্যেকার চুমুর গন্ধে এক ঝুলবারান্দা গড়া হয়ে যায়। ওখানেও ওই প্রভাতের সুতীব্র আদিম আঁচড় কেমন যেন পিপাসার পংক্তি জুড়ে জুড়ে সহজাত পাপ পাথুরে আকাশ চিহ্ন এঁকে দিচ্ছে –একেই তো পরকিয়া প্রভাত গলে গলে বোধিবৃক্ষ কবিতা বলে।

আচ্ছা টুপটুপ জলজ সন্ধিতে নিজস্ব নিমগ্ন সানুদেশে কয়েক ফোঁটা মুখ চোখ ঢেউয়ে ঢেউয়ে ব্যক্তিগত সুখ খেতে খেতে বলো দেখি যে প্রভাত নাকি সন্ধ্যা কখন তুমি তরল রমন মুগ্ধ নার্সিসাস স্বরচিত হাজার নিরুদ্দেশ কবিতা; নিঃসঙ্গ জলকেলি ভাঙন ছায়াপথ- সময়ের ঢালে জড়িয়ে মর্মর পর্ণমোচন

ভাত নেই নিজস্ব নিঃশ্বাস যাপনও নেই তবুও। তবুও শুকোতে থাকা উঁই শুকিয়ে শুকিয়ে ছায়াশূন্য হয়ে যাওয়া সঙ্গম কুড়োতে মৃত্যুদণ্ড ঘোষিত প্রভাতচন্দন ঠোটে একটি অনধিকার চুমু... 
হে নষ্ট প্ৰাণ স্বপন অমিতার কল্প শরীরে সকাম বুলিয়ে একটি পল জিজ্ঞাসা করে নাও -

নিকষ উন্মাদ লাশ। তোর বুকপকেট থেকে তো ফোঁটা ফোঁটা কান্নাবাজা ঘণ্টাটা ভ্যানিশ করে দিল। জানিতো নরক নিঙরোনো টকটকে
দহন আছড়ে পড়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যাবার তীব্র আকুতির বোষ্টুমি সুরে। কিন্তু একি বোষ্টুমি নাকি আলগোছে অভিসার সেরে স্বপ্নপোড়াগন্ধ
ফিফিস্ প্রভাতী।

প্রভাতরে পান্তাভাতের পানি বাউল চাবুক খায় লাশেও মুখোশ সাঁটা গিরিগিটি রং লাফায়

সবখানি পচন ভুলে বিধ্বস্ত বসন বিধ্বস্ত স্বাধিকার অমিতায় আক্রান্ত আমি। ধমনিতে ফিরতে পারি না। আবার কবে যে খেরোখাতার ঋণ ছিঁড়ে বুঝচাপড়ানো ধর্মনির

চলনবিল প্রভাত সত্যিকারের প্রভাত প্রভাতে ভেসে যাবে বেসুরো জন্মবর্ষে

শিকড়ের রস দেহজ বারুদ ঝলসাবে

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন