বন্দিঘরের কুটুম কাটুম
অমল বসু
পাখি শব্দটি উচ্চারণে পেয়ে যাই আকাশ ও উড়ান
প্রসারিত দুটি হাত- ছুটে যাই অসীমের দেশে
তবু অধরাই থেকে যায় দুটি ডানার আশ্চর্য জাদু
নিশ্চিত জানি খোঁজ পেয়েছিল কেউ
বাড়ির আট দিকে উড়িয়ে দিয়েছিল স্বাধীন পতাকা
ঘোড়ার পিঠে কখনো ডানার বিস্তার হলে পক্ষীরাজ
পা তুলে রাখি ভবিষ্যতের ঘরে, যদি
যদি-র সুতোয় টান পড়ে অচল কাঠের পায়ে ইচ্ছে
নিষেধের প্রাচীর ডিঙিয়ে আনত নীলে সবুজ চুমু
যা খুশি ভেবে সৃষ্টির আনন্দে ভেঙে গড়ার ছাড়পত্র
জল কাদা ফেলে অলস কুমীর হরিণের পায়ে উধাও
কলম নাচিয়ে শব্দ সাজিয়ে দিলে আরব্য রজনী
কাক ডেকে ওঠে অবিকল কোকিলের ডালে
আঁচলে হাত মুছে রান্নাঘরের গ্রিলে দোয়েলের শিস
ভরাবর্ষার সন্ধে পাউরুটি সহযোগে সুগন্ধি হালিম
ক্যালেন্ডার দিন গুনে পৌঁছে গেলেও বইমেলা আসেনি
মনখারাপের বন্দিঘরে অভিব্যাক্তি কুটুম কাটুম দেখি
কাদাকুলির পথে পলাশ ছায়ায় কবিতার বিষণ্ণ ফলক
গতির চাকায় শিকল দিলেও পৌঁছে যাই রুফটপে
কবির জন্মদিনে দু-দুটি নিশিপদ্ম রাত পাহারায় জেগে
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন