আনমনে হঠাৎ হঠাৎ-ই এমনি-এমনিই শুনি 'ডোর বেল বেজে ওঠে'।ঘরে যখন কেউ একা একা কারো প্রতীক্ষায় থাকেন তখনই এই শোনা-রোগে আক্রান্ত হই আমরা প্রায় সকলেই।
ডোরবেল বেজে ওঠে আনমনে, এখন যেমন মাঝেমধ্যেই মনে হয়, মোবাইলটা কি বাজলো!
চেক করে দেখি,না,কোনও মিসডকল তো নেই!
এসবই ভাবছিলাম কবি মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় রায়-এর দু'ফর্মার কাব্যগ্রন্থ পড়তে পড়তে। কবিতা পাক্ষিক থেকে ২০১৯ এর জানুয়ারিতে প্রকাশিত হয়েছে বইটি। প্রচ্ছদ করেছেন রোশনি ইসলাম, সেটি রূপায়ণ করেছেন, শৈবাল নায়ক।
বইটিতে মোট বাইশটি কবিতার স্থান হয়েছে, তন্মধ্যে চেতনা ও দ্বিতীয় জন্ম শিরোনামের দুটি কবিতা সিরিজ কবিতা।কবি মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় রায় একজন গৃহবধূ, ঘর-সংসার সামলে চোখের সামনে নেগলেক্ট যে সময় তার চেতনায় পৌঁছায় তাই হৃদয়ের গোপন আদরে অক্ষর হয়ে ঝরে পড়েছে তার কবিতায়।সমুদ্রের গর্জন জগন্নাথ মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রবেশ না করলেও তার চেতনায় ধাক্কা দেয় আর সেখান থেকেই তিনি লেখেন নিজের মতন করে চেতনার কথা, দ্বিতীয় জন্মের কথা।অনুসরণ করেন,সেই পাখিটিকে যার 'ডানায় প্রেম লিখে দিলে হয়ে যেতে পারে/ উড়ন্ত ভালোবাসা /'
ভাবেন,' কপালের চুম্বনের রং কী?/ ঠোঁটেরই বা কী?/ স্ক্রিনশটে ধরা পড়া অভিমানগুলো/ গুঁড়ো গুঁড়ো হয়ে ছড়িয়ে পড়ছে /'.... কিংবা তিনি লেখেন- 'রাত দেড়টায় ঘুম ভেঙে গেলে/ বোঝা যায় ঘুমিয়েছিলাম।'
কবি লিখে যান,'কত ঈর্ষাকাতর মখমলের উত্তরীয় জড়িয়ে / মঞ্চ হয় আলোকিত।'
তাঁর যাপিত জীবন, সংসার,সমাজ,পারিপার্শ্বিকতা উঠে আসে তার কবিতায়।হাতাখুন্তি হাতেই ছুটে চলেছেন কবিতার দরজায় ডোরবেল বেজে উঠলেই।
পাঠ প্রতিক্রিয়াঃ
ডোরবেল বেজে ওঠে
মঞ্জু বন্দ্যোপাধ্যায় রায়
কবিতা পাক্ষিক
জানুয়ারি, ২০১৯
বিনিময়ঃ ৫০ টাকা
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন