আমি সুরে সুরে

জয়শ্রী ঘোষ


সুরের খোঁজে আকাশে পাড়ি দিয়েছি, পাগল হাওয়া

রোদে পুড়ে যাচ্ছে গা

বাঁধন আলগা হচ্ছে

আমি ছুঁই আমি ব্যর্থ হই আমার কাজলা আঁখি টলমল


দৃশ্যরা ঝাপসা হলে স্পষ্ট হয় ছন্দোবদ্ধ ময়ূরের নৃত্য

যে সুরে খুলে যায় প্রখর তাপ

সেই সুরের সুগন্ধে রাত নামে

বৈশাখে রবীন্দ্রনাথ, বৈশাখ একরকম অবিশ্বাসী মেঘ


একটি আটপৌরে মেয়ের গল্প বলি, মেয়েটি বালি দিয়ে ঘর বাঁধে, যে মেয়েটির গায়ের রং কালো! মাঝেমাঝে তার মনেহয়, পিঠে হাত রেখে যদি কেউ বলত 'কৃষ্ণকলি!" যদি ওনার মতো করে গাইতেন গান! মেয়েটি অপেক্ষায় থাকে। অপেক্ষাকৃত মেয়েটি ঘর গড়ে আর ভাঙে। ভাঙাগড়া খেলার অবসান হয় একদিন, দীর্ঘশ্বাস ফেলে হেসে ওঠে মেয়েটি। তৃষ্ণার্ত মেয়েটি পৃথিবীর দিকে তাকিয়ে বলে হে প্রিয়! বিজ্ঞাপনের গান কানে বাজে, খানখান হয়। হারমোনিয়ামের কোমল নি বাজতে থাকে, মেয়েটির গলা মেলে না। সরগম বাজায় গলা সাধে বারবার। আরোহণ, অবরোহণ মাত্রা বাড়ে। আরো উঁচুতে উঠতে উঠতে থাকে- পাখিটির পালক ছুঁয়ে স্বর ছড়িয়ে পড়ে আকাশে বাতাসে তারপর সন্ধে তারপর রাত্রি। রাত্রি একরকম অভ্যেস, রাত্রি মেঘমালা। মেয়েটি এক একা সাজে ওর নামও রাত্রি। তাই অন্ধকারের কাছে ওর অনেক প্রশ্ন! রাত্রি কেন কালো? সাদা ফুল কেন সাদা? ফুল গন্ধ ছড়িয়ে ওর চোখে কাজল মাখায়। প্রশ্ন করতে করতে রাত্রি একদিন অন্ধকারে পরিণত হয় এবং শুনতে পায় 'কৃষ্ণ কলি!' ডাক। তারপর অন্ধকার আর রাত্রি একাকার হয়ে যায়.. 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন