তবে কি আয়নাতেও

স্বপন দত্ত

একটা যা ইচ্ছে তাই করো খামখেয়ালি ঝুমকো ভূমি আছে। তবে তো আমি তুমি সে নিজের নিজের হুঙ্কার গর্জন আনন্দ খেলা শিরায় শিরায় মদ আসক্তি ধুনকিতেও আমার তোমার তার পোশাক বা রাইফেল কোনোটাই ছাড়তে পারি না। কে যেন কারা যেন কালো কালো সেলিব্রেশন গন্ধ ডানা ছড়াতে ছড়াতে পোশাক খসিয়ে দেয় সময় ক্যানভাস বাঁধনহারা মানুষ আঁকায় ধাঁধা আর ধোঁকায় রংগুলোয়



হাঁ করে তাকিয়ে থাকার

ইচ্ছে থাকলেও সবসময় সূর্যটা ফুরিয়ে আসে আলোটাও ঘুমিয়ে থাকে আর তাই নিজের শুদ্ধতা ও তুমি-ছন্দ দেখাতে পারিনে নিজেকে নিজের শ্রী শ্রী শ্রীমান সামান্যকে উৎসর্গ করা অকথিতই থেকে যায়



না আমার অনেক অনেক লেখায়

তুমি যুক্ত আমি তো আছেই কিন্তু বাস্তবের রিংটোন নিরাবয়বই থেকে যায় কেন না ঐ যে বললাম ওপর মধ্যে  তাকিয়ে থাকতে থাকতে ওপর মধ্যে পায়চারি করতে করতে মৃত্যু ছলকে উঠল এখন একটি গভীর নপুংসক সমগ্র তুমি হয়ে উঠছে



অথচ তুমি

নামে কেউ কখনও আমার সঙ্গে... না হয়নি… কেবল একটা নরম ভাপ সিটি দিচ্ছে... তুমি বাজছে পিঁড়ি পাতছে। কাঁচা তেল মরিচ আলুসেদ্ধ গরম গরম তুমি আর কত কত এপার ওপার পরে গরম গরম ধোঁয়া ওঠা ভাত… এখন আর আমি কালা নেই বোবা নেই হাপুস হুপুস খাচ্ছি ভিজছি ঢলঢল পা খুব ডাকছি - এই তুমি ঐ তো আমি লুকোচুরি লুকোচুরি ধরতে পারে না

                       আর তুমি ধরা দিলেই তো আমি ধরা হয়ে যাবে ধুর কিসসু জানে না...



আমি যখন শিশু ছিলাম

ভল‍্যুম কমিয়ে একটা আকৃতি দেয়ার চেষ্টা করতাম। এই ভল‍্যুম কমিয়ে শব্দটা অবশ্য একটা স্বয়ংক্রিয় হাতিয়ার যেটা বলতে কী বোঝাচ্ছি তা আমি এতটুকুও প্রকাশ করতে অসমর্থ এক্ষেত্রে অপারগতার দরুন যদি আমায় নপুংসক বলেন হিজড়া বলেন আমি রাগ করব না বরং আনন্দই পাব কারণ জানা হয়ে গেল যে অন্তরচেতনা সহজাত


যাক গে কাল বাড়ছে...





কিন্তু…


কিন্তু আমি যে একটি স্বভাবজাত উপলব্ধি।  এই সবিশেষ অমিতাকে যে আমার নিজের ভেতর থেকেই সংযুক্তি পূর্ণ বলে মনে হচ্ছে। আসলে অমিতারা সবসময় আমার সঙ্গে সঙ্গে থাকে তো তাই ওদের কথা ওদের ম্যাচিওর কথা স্বপ্নকথা ভুলে ভুলে যাই। এর নিশ্চয়ই অনেক অনেক কারণ আছে। কিন্তু কোনোও কারণই জানা নেই আমার। সাধারণত আমার মুভমেন্ট আমি কখনও করাই না যদি না তা অমিতাদের মুভমেন্টকে সমর্থন করে। কিন্তু আমিও এরকম কেন। অমিতা প্রশ্ন তুলেছিল। আমার সহজাত উত্তর - আমি তো একটা মরা। ধারণ করে আছি আমাদের অতীত। আমি কেবল অমিতাদের সঙ্গে ঘটনার মাধ্যম। শুভায়ভবতু...



ভুলে যাবেন না

কবিতার নাম কী কবিতা কোথায় কী করতে কবিতা তোমার আমার মধ্যে বসে আছে মানে চিড়িক চিড়িক ডাকতে ডাকতে কবিতা চোখ বরাবর উড়ে  যাচ্ছে বাতাস কবিতার সাথে কথা বলছে তোমার মনের আড়ালে কবিতা আনমনা হয়ে যাচ্ছে নাকি এই মুহূর্তে হেড টু হেড কবিতার সঙ্গে কবিতার এনকাউন্টার ইজ  ইন এ ভিটেবল



এই যা কী অনুরোধ করছিল

এক্কেবারে ভুলে গেছি। বরং আকাশের গায়ে ফুটেওঠা চলমান ছবি দেখে রোজকার ওয়ার্কআউট রুটিনছন্দটা মনে পড়ে কিনা দেখা যাক। হ্যাঁ হ্যাঁ মনে পড়ছে। তখন রাস্তায় যেখানেই ভিড় হইচই সেখানে গিয়ে দাঁড়ালেই দেখতে পেতাম একটা গোলপোস্ট বাচ্চা আমি চোখবাঁধা অবস্থায় ডাইভ দিচ্ছি আর একটা গোল মুণ্ডুকে ফুটবল ভেবে ডাক দিচ্ছি- চলে আয় আমায় পাশকাটিয়ে গোলে ঢুকে দ্যাখা। আর অমনি তীর বেগে একটা বাইকের আওয়াজ। অমনি আমাতে একটা জাদু-আলো ঝলক পাগলামি জুড়ে দিল। অনেক 'অনেক 'স্বপন স্বপন" চিৎকার রাস্তা আটকে দাঁড়াচ্ছে।  বিশাল বড় খোলা বুক উষ্ণতা ছড়িয়ে দিচ্ছে। এইখানে কিছু শেষ কথা বলে নিই…



আর দ্যাখো

আমার ডানা নেই চাকরি নেই ব্যবসা নেই বাঁচবার বাতিঘর নেই। খিদে আছে তেষ্টা আছে অবিশ্বাস আছে না পাওয়ার পেছনে ধাওয়া করা নেকড়ে হয়ে যাওয়া আছে। সারাজীবনে একটি পরির ছোঁয়া একটি চুম্বন দৃশ্য... কিন্তু অনূদ্দাম অনুত্তাপ অপ্রাপ্তবয়স্ক শব্দই জেগে থাকে। তবুও বিষ খাই না গলায় দড়ি দিই না। একটি খসতে থাকা পচা ফল হয়ে ছোটবেলা থেকেই নিজের মধ্যে শুয়ে থাকি



এতসব একা

অনেক একা হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এত যে ক্লান্ত অবসন্ন অমিতাভ দরজা খোলে না অন্ধকার খোলে না। ওপর পাঁজরায় ক্রমেই পুষ্টিহীন অচেনা পরি। ও অমিতা তুই তো অন্তরের মাঝরাত আকাশযান উছলে ওঠা অজস্র জংধরা পরির রুগ্ন ঘ্রাণ-বন্দরে ভুল-পরিচয় নাউটাকে ভিড়িয়ে দে। তাহলে অন্তত পরিনেশার ভেতর অমিতানেশা ― এই নেশা নেশা কর্মে অকর্মে একদিন  চেনাচিনি হয়ে যাবে আমাতে আমাতে



অথচ পরি

এমন কিছু একটা শক্ত ব্যাপার নয়। শূন্য থেকে পংখীরাজে চেপে নাকি ছইতোলা শূন্যই চেপে অনেক না হোক একটা পরি তো জলজ্যান্ত নূপুরের ধ্বনিতে এত এত বারুদ ঘ্রাণেও বেণু বাজা রেণুর মিহি কারুকাজে আসতেই পারে। কিন্তু…



তবুও কেমন যেন মনে হয়

কেউ বা অনেকেই পরিপাটি হাসি গণ্ডিকেটে আমায় খুবলে নিচ্ছে। অদৃশ্যেই সুপ্রাচীন শৃংগারে ঠিকানা খুঁজে নিচ্ছে। দিন বা রাত দিন বা রাতের ঘ্রাণ নয়। কেমন এক রং বদলাতে থাকা দ্রুতযান ঘ্রাণ। পাশের নির্জনতার সঙ্গে কথা বলছি নিজেকে সঁপে দিচ্ছি। ওহো কে আমায় তৃষ্ণা ভেজা আলোয় উল্টে টাঙাল। আমি কে যে আমি হয় না মনে। আমি গিয়েছে খোয়া



হে আমার সহকারি ঈশ্বর

ও নিরীশ্বর ঘরে দোরে নেচে ওঠা আলেয়ার আলো তদন্ত ভূমিতে বর্ণহীন তদন্তে জানাও যে আমাকে দেখা তোমাকে দেখা যুগল আকাশকে দেখাটা শূন্য হলো কী করে। তাহলে কি পরমাণুর বেগবতী নীল স্বর্ণালী দর্শন কেবলই শূন্য দর্শন। পিপাসারং ভেজা পাঁজর দিয়ে শূন্য সৃষ্ট ক্যানভাসে এ কোন শূন্যক্লিষ্ট শূন্য দ্রষ্ট শূন্য গন্ধ শূন্য বর্ণ শূন্য ফল-শূন্য শূন্য-সুন্দর আমি



নীড় নেই

কৃষি নেই। সোনা ফলে না। তাই… এমনই থাবা চাটতে চাটতেই শূন্য তোতেই ও শূন্য সহচরীরে একটা ঘর বাঁধব। নাম দেব শূন্য মানুষ বাসা। সবখালি মানুষবেলা ফর্দলিপি ফেলে দেব



শুধু তুই আর তুই

শূন্য আর শূন্য

আপনাতে আপন

শূন্যতে শূন্য

একটা সহজ শূন্য আলো

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন