রূপসি পলাশ

সুশীল হাটুই


পলাশগাছটিতে অসংখ্য লাল ফুল ফুটে

আছে। যেন পলাশের গায়ে জ্বলজ্বল করছে

আগুন।


এই লাল ফায়াররেড নাকি সিগন্যাল

রেড, সেই প্রশ্নে না গিয়েও যে কেউ বলে দেবে,

বসন্ত এসে গেছে।

দেবদারুগাছ অবাক হয়ে দেখছে, পলাশ

হাসিমুখে গেয়ে চলেছে---


ওরে ভাই, ফাগুন লেগেছে বনে বনে ---

ডালে ডালে ফুলে ফুলে পাতায় পাতায় রে,

আড়ালে আড়ালে কোণে কোণে।।


জারুলগাছ বিরক্ত হয়ে বলল---

ধিঙ্গিপনা করতে তোর লজ্জা করে না পলাশ?


পলাশ বলল---

লজ্জা করবে কেন, দেখতে পাচ্ছ না বসন্ত

এসে গেছে।


পলাশের রক্তে আনন্দ। মজ্জায় আনন্দ। আর

শিরায় শিরায় আনন্দময় নটরাজের নাচ।


তবু সেই নাচ হঠাৎই থেমে গেল। একজন

কাঠুরিয়া আসছে। হাতে কুঠার।


কাঠুরিয়া পলাশগাছটাকে দেখছে। আর ভাবছে,

আজই একে শেষ করে দেব।


কিন্তু সে কুঠার তুলেও পলাশের গায়ে বসাতে

পারল না।


যার শরীরে অ্যাতো রূপ। তাকে সে হত্যা করবে

কীভাবে?


পলাশের রূপ দেখতে দেখতেই তার অন্তরে

জেগে উঠল মায়া। চেতনার মধ্যে জন্ম নিল

প্রেম। তাঁর বোধে এখন মণিপদ্ম।


দস্যু রত্নাকর একটু একটু করে হয়ে উঠছেন,

বাল্মীকি।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন