দু'টি বসন্তের কবিতা
আলোক মণ্ডল

১.
খোল দ্বার খোল....

এখনও ফোটেনি সব রবীন্দ্র কবিতায় যত আছে  ফুল
ঘেঁটু ফুলে ঘেঁটু ফুলে না সাজে সাজুক জীবনানন্দ 
ফুটেছে রক্ত পলাশ,  দৃশ্যত ফুল,
আসলে আগুন!
পাহাড়ের কুচযুগ ফুলে-ফুলে ঢাকা
এসময় আগলে রাখা বড় কঠিন 
বড় কঠিন, হে রাখাল!
বিশু পাগল জানে, জানে এ অধম,
পাগলা হাওয়ায় খুলে-খুলে যায় শরীরী বোতাম
খুলে যায় পাঁজরের ঢেউ!
আর কত দূরে থাকবে নন্দিনী
আগুনে আগুন এই  পলাশ রোদ্দুরে এসো মুখ রাখি, তোমার অনন্ত রাত্রির মতো চুলে, 
আমার এই হাতের ভেতর তোমার হাত এসে আমাকে মারুক-মারুক
তা না হলে এ কীসের বসন্ত, রাখাল, এ কিসের...! 

রঞ্জন আমি,    প্রেমের কাঙাল
খুলে ফেল আড়াল, গাছের জরায়ু ছিঁড়ে ফুটুক আগুন!

২.
বসন্ত এসে গেছে...
"'""""""'''''
তোমার চোখে দেখেছিলাম সেদিন মধুমাস
তুমি তখন ষোল, আমার একুশ - সাড়ে সর্বনাশ!

আমি ছিলাম হদ্দ বেকার, রদ্দি মার্কা ছেলে
তবু তুমি দাঁড়িয়ে ছিলে পিছুটান সব ফেলে,

একলা মাঠে চৈত্র  দিনে ঘরছাড়া এক 
গোঁ
মনের কথা স্বরলিপি হাওয়ায় দিল 
ছোঁ

উড়িয়ে দিল আগল যত, পাগলা হাওয়া
মৌ বন
গলির আড়ে  চন্দ্র মুখে অঝোরে ঝরে
চুম্বন!

ফুল ফুটল বুকে তখন, কুহু ডাকল 
গাছে
বুঝিয়ে দিল পলাশ আগুন, বসন্ত এসে গেছে!

1 মন্তব্যসমূহ

  1. ভালো লাগলো।দ্বিতীয়টি বেশি ভালো লাগলো তার অন্যরকম ছন্দ রীতির জন্য।

    উত্তরমুছুন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন