একটি পালকের খোঁজে
রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়
আচমকা গড়ে উঠলো শহর কলকাতা। এক পেঁচো মাতাল টলমল মিলিয়ে গেল বউবাজারের দিকে সাথে কালী মির্জার সুর। চৌরঙ্গীতে রাত্রি নেমেছে। গ্যাস লাইট জ্বলছে সাহেব পাড়ায়। গতকাল এ সময়েই এক ফিরিঙ্গিকে নিয়ে গেছে বাঘে। প্রাচীন গ্রাম্মফঃস্বলগুলো গভীর ছায়ার ভিতর ডুবে আছে। এবার কোথায় যাব? অনেক খুঁজেছি সেই সাতরঙা নরম পালকটা। অবশেষে এসেছি এখানে। আমার চারপাশে পূতিগন্ধময় পচা গলা শব। পাপীদের ছিন্ন দেহ। রক্তস্রোত। কান্না। হাহাকার। দাউদাউআগুন জ্বলন্ত চিতার চেয়েও ভয়ঙ্কর। আগুন ঘিরে আছে অসম্ভব অন্ধকার। পুরাতাত্ত্বিক কয়েকটা কালো কালো ভাস্কর্য দু হাত বাড়িয়ে ডাকছে। সারাটা শরীরের ওপর কলকাতা। S-5 ছুটে যাচ্ছে এ্যাকাডেমি নন্দন রবীন্দ্র সদন ছুঁয়ে গড়িয়ার দিকে। হলুদ ট্যাক্সিগুলো খামোখাই হাইস্পিডে এদিক ওদিক করেই চলেছে। গিরিশ মঞ্চে ব্রাত্য বসুর নতুন নাটক নেমেছে আজই। আমি এসেছি আচমকা গড়ে ওঠা প্রত্যন্ত গ্রাম্মফঃস্বলের এক আঁতুড় শহর থেকে। একদিন আমারই এ শরীরের ওপর ছিল সবুজ মাঠ ধানখেত শান্ত পুকুর। সেসবই লালনীল শপিংমল বহুতল ফ্ল্যাট। আচ্ছা, আপনারা কেউ কি দেখেছেন, একটি সাতরঙা নরম পালক,
শতাব্দীর পর শতাব্দী যাকে খুঁজতে খুঁজতে,
এই মুহুর্তে আমি এ দখত্-এ,
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন