মধুৎসব

অণিমা মিত্র


ধর্মগুরু অনুশাসন পর্যায়ে শিখাইলেন-- সন্তরণপটিয়সী হাঁসের পালকে কোন্ রসায়নে জল থাকে না।

মৃদুহাস্যে বিদ্যুৎলতা অবনঠাকুরের জলরং হইলে আমাদের দৃষ্টিনান্দনিকতা এক উচ্চমার্গে বিচরণ করিলো।

ধর্মঠাকুর অনুভব করিলেন, তাঁহার পিপাসায় একঘটি জল যথেষ্ট নহে। এও লক্ষ করিলেন- অবগুন্ঠনে ক্ষতওয়ালা ভাঙা আঁচিল।

বসন্তবাবু তাঁহার সবুজপত্রটি হরিনাভিকে উইল করিয়া দিলেন। নামকরণ' চিরহরিৎ '।  অপর বৃদ্ধ হলুদ পাতাটি উড়াইয়া নিয়া ফেলিলেন মন্দির চাতালের অবৈধ ফাগে।

নব্যরা কহে-- ' অবৈধ ' বলিয়া কিছু নাই। সবটাই প্রায়োগিক। আপনি কী উপায়ে জীবন হইতে রসায়ন ত্যাজ্য করিবেন? তাহা তো দুর্বৃত্তায়ণ! 

কোকিল গাহিলো: উহা  চৌর্যবৃত্তি। যে ঋতুর যাহা ধর্ম। না হইলে অনর্থ ঘটে।

মদনিকা লাস্যসহ বলিলো: ঋতুচক্র উল্টাই, তেমন পাঠ বাসন্তী প্রমাতা দেন নাই ফল দেখাইবার কালে।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন