অনেক পৃথিবীর আকাঙ্খার কবি গৌরাঙ্গ মিত্র

বিপ্লব দত্ত 

"ফুসফুসে বাতাস বয়ে নিয়ে যাবে বলে তোমার রক্ত প্রস্তুত হয়ে আছে" - ভাবনা কেমন যেন উলটপালট করে দেয়। ভাবনায় আসে সত্যিই তো ফুসফুস এমন এক শরীরবিষয় যা আমাদের যে কোনো সময় থমকে দিতে পারে আর তার জন্য চাই রক্তের যোগান। ঠিক যদি উল্টোটা ভাবি প্রেম যদি না থাকে এক মহানুভবেরও পতন অনিবার্য। আমরা যৌথ পরিপূরক। তিনি এক কবিতায় লিখেছেন "আলোর বিপরীতে প্রেতযোনি - অন্ধকার আতঙ্ক ছড়ায় না" - ভাবনার অন্ধকারে কখন যে আমরা ডুবে যায় আর তার পরেই উদ্ভব হয় আলোর। যে আলো মানুষকে বাঁচতে শেখায় আর বলতে শেখায় - এসো, আমরা একসঙ্গে বাঁচি। দেখেছেন মানুষের যন্ত্রনা আর সেখানেই তিনি সফল। কাতর আর্তনাদে তিনি লেখেন "নদীতীরে এক টিলার উপরে উঠে বলো : জলের আর এক নাম জীবন, আ : জীবন....নদী আনন্দ পাবে, হড়কা বান দু -পাড়ে বিছিয়ে দেবে জলজ ভালোবাসা  " - যা মানুষের প্রতিবছরের স্মৃতিচারণের এক অধ্যায়।

জল আমাদের জীবনসঙ্গী হয়েও সে প্রাণঘাতী এক প্রকৃতি আর সে কারণেই তিনি এক কবিতায় বলেছেন "পৃথিবীকে বলেছি : দেখ পৃথিবী, সমস্ত যন্ত্রণা মুছে আরো বেশি পৃথিবী হতে পারো কিনা" - এই দেখা অন্তরের এক গভীর অন্তস্থলের দেখা। যা মানুষ চাই প্রতিনিয়ত। 

ভালোবাসার যাতনা একছত্রেই বলে দেন "রজকিনী রামির জন্যে পুড়িয়ে দিয়েছে যৌবন-ধন-মান" - এখানেই তিনি সফল। পুরুষতান্ত্রিক দেশে অনেক রজকিনী যারা নিজের জীবন দিয়ে পরিস্ফুট করে আর একজনকে। ভাবি আমরা? কেউ কেউ  হয়তো ভাবি যা অপ্রতুল আর উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। 

এভাবেই তিনি হাত বাড়ানোর কথা বলেন "গুলি মারো স্মৃতি ও সত্তাকে। এসো,যদি চাও, নিয়ে যাও পরিবেশ দূষণহীন  ভবিষ্যতের অভিজ্ঞান। 

সব ডালপালা ভেঙে যাক। আমার অস্তিত্ব টিকে থাক অতল  গভীরে। আমি আছি এখন আর সবসময়। উজ্জ্বল হয়  মানুষের স্বপ্ন। স্বপ্নের শিবিরে বসে তিনি ভাবেন " কবিতা - মৃত্তিকার ভেতর শিকড় চারানো ডালপালাহীন এক গৌরাঙ্গ গাছ”। 

নির্বাচিত কবিতা / গৌরাঙ্গ মিত্র

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন