ভজ গৌরাঙ্গ...

আমিনুল ইসলাম

যতদূর এই অধ্যয়ণ ততদূর প্রাণের ঠাকুর। আমার আরাধ্য দেব। ইহকাল ও পরকালের পিতা সম অধিষ্ঠানে যাঁরা সুপ্রতিষ্ঠিত তাঁদেরই আর ১জন চলে গেলেন। পুনরায় অসহায় হলাম। কিছু কালের অন্তরালে নিকটতম কয়েকটি নক্ষত্র বদলে নিয়েছেন তাঁদের কক্ষপথ।  

অথচ ব্লাক হোল-এর সুবিন্যস্ত অতল গহ্বর থেকে উঠে আসছে আলোর স্রোত। ঝিলমিল অশ্রু নিরলস বিগত ডিসেম্বর ২০২০ যা ম্যাজেন্টা রঙের সুতোয় বুনেছে অন্তর। প্রতিটি স্পন্দন বেজে উঠতো যাঁর ফোন কলে- তিনি কবি গৌরাঙ্গ মিত্র। 

তিনি আমাকে খুব স্নেহময় করেছেন। এই স্বল্প দৈর্ঘ্যের অবসর সমুদ্রের জলরাশি হয়ে ঋদ্ধ করেছে। কাঁদতে ভুলেছে  এই খরস্রোতা পাথর। 


এখন ১চোখে নাসের হোসেন ও অন্য চোখে গৌরাঙ্গ মিত্র ঘুমিয়ে আছেন। জ্ঞানচোখে প্রভাতের আলো বিরাজমান হোক যতদূর আয়ুকাল।


স্বপ্নের দুটি ডানা যা দিয়ে বিস্তৃত দিগন্তে উড়ান নিশ্চিত করেছে। আর হৃদয় সচল রেখেছে পাথরের আরও বিবিধ চোখ আর ১টি কাঠের পা  অন্যটি ঘোড়ার। আস্তাবলের আস্তা অর্জন করতে সচেতন যখন ঠিক তখনই ১এক করে দুই ঈশ্বর আঙুল ছেড়ে দিলেন। ৩য় নয়ণ থামতে দেননি। চলতে থাকার মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ রেখেছেন। এমনই আরও অনেক ঈশ্বর আছেন যাদের বিবরণ পরবর্তীতে বলা যাবে।

অসীম এই পৃথিবীতে তাঁদের অধিষ্ঠান মহত্তর। নির্বিকার অনন্তের সিড়ি বেয়ে উঠতে চায় বহ্নিশিখা। দগ্ধ হতে হতে মোমের গলনাঙ্কে মেলেছে স্পন্দন।  এই অলোকদৃষ্টি এই আলোকের জন্মান্ধ অরণ্যে 

একা  ভাবনারা খোঁজে পলকের ওম। মোমের মহিমান্বিত স্নায়ুর গলিত শিলাস্তর বিচ্যুত ঘুম নিদারুন দাবানল।

বাতাসের অভিপ্রায় মোছে অসহযোগ। 

কবি সহযোগের কথা বলেন। সব অসহযোগ ভালোবাসার মর্মর ছোঁয়ায় সূর্যের নতুন উদ্ভাস জাগে গৌর অঙ্গে। কবির সৃষ্টি ও বিনাশ নেই অবয়ব ছেড়ে পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যায় কবির পরিসর। সর্বত্র রেখে যান বহুরৈখিক চেতনার ক্রোমোজম।

প্রণাম। 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন