সাম্প্রতিক লেখা কবিতাগুচ্ছ 

সমীরণ কুণ্ডু

১.

এখন মধ্যম পুরুষ ধরে নৃত্যচারী বায়ুময়। অতীত কতো প্রাচীন হলে ভুলে যাওয়া সহজ? আরাধ্যকে নিয়ে বসে আছে শরণাগত। একটি অন্তিম বারবার আমার যৌনাঙ্গকে উপদেশ দিয়ে চলেছেন। 

ব্রাত্যজনের কোনো অভিযোগ থাকতে নেই। থাকা কি ভালো? না বোঝা কোনো সমাপ্তিরেখার ডানদিকে একটি আঁচিল। বহির্ভাগে অনন্ত। দুএকটি সমাস পাখি হয়ে উড়ছে।

চুল আঁচড়ানোর পর দ্যাখা গেলো ভূকম্পন। গ্রামীন সংবাদ লিখছেন একজন কৃষিজীবী। কার কাছে যাবো --- দুকূলেই বিপর্যয়। একঘাটে জল খাওয়া বারণ। ভালো কবিতা কি তবে পাগলেরাই লেখে?  

বিপর্যয়ের কথা তিস্তাও জানে। ঐশ্বর্য ছড়ানো তরল। বলছি তো পুনরুক্তি ভালো লাগে না। 'ম্যাকানাস গোল্ড' আমি দেখেছি। গ্রেগরি পেক, ওমর শরিফ ছিলেন। 

সিদ্ধান্তের যেদিকে আড়াল ও নৈকট্য বেশী --- ঘোলাটে জলে মুখ ধোয়া যায়। শৌচ কাজ ও জীবন। সবুজে ঘেরা অস্তিত্ব। তিস্তা জানে একা কতো শান্ত থাকি। 

বলছি তো পুনরুক্তি ভালো লাগে না। 

আমার জন্মসময় বলে যা নিরন্তর --- সব বালখিল্যতা। ঋষু এলো। স্মরণে একছড়া ধান। লক্ষাধিক গবেষণা ছাপিয়ে সূত্রেরা। আসলে কবর। যত মৃতদেহ প্রতিদিন পোড়ানো হয় ; জন্মক্ষতের পরিচয় মেলে কি? নদী ও মাঠ --- জলাভূমি আছে। আমি নেই। সতু বলে গেলো সূর্যোদয়ের অন্তিম পূবে খোঁজ নিতে। সেটির বয়স নাকি অসীম। বাণু মূলতঃ পরী --- ভালোবাসতাম। ধারণার উপর চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে জন্ম। কেন আমি নেই?  আরো একটি সম্মোহন --- না জানালে নয়। বায়ু চিৎকার করছে মানে ঝড় উঠেছে। প্রকৃতি নাচানো মেঘছাপা কালি। ভস্মীভূত জল। প্রত্যেক কণায় আমিত্ব আছে। অথচ জন্ম হয় নি আমার। ভূয়সী প্রশংসার পর যথেষ্ট কোলাহল। অভিভাবক তাহলে কে?        


ইস্তেহার জমে আছে --- সরে যাওয়া বাধ্যতামূলক। অহংকারের নগ্নতা মাপা হচ্ছিলো। প্রতিটি কোষ একে অন্যকে দেখে হাসছে। কেউ কাউকে চেনে না। গ্যালাক্সির পর গ্যালাক্সি ছাপিয়ে আধকর আয়ু। মানুষের কোনো সভ্যতা নেই। 


অন্ধকার হাতড়ে বেহালার ধুন ভাজছে নিখোঁজ বনমালী।           


আমি পরমার্থ-কথা জানি। ধারণা নিয়ে আলোকিত এক উজ্জ্বল আশ্রয়ের কথা। জানি লোল। জানি তো বাঁচার স্বপক্ষে কী কী বলা যায়। বিদ্রোহের সাথে যৌনাকাঙ্খী মেঘ ও তাহাদের সমর্থন। 


পরাঙ্মুখ সহসা যে ধূসরাবৃত কাম --- কোথায় রাখি? স্রোত ছুঁয়ে গ্যাছে বিস্মরণ ও মায়ায়। এই যে দৈব --- আমিত্ব সরিয়ে দিলে কে মানবে? আমিই দেবতা সৃষ্টি করি --- দর্শক ও দর্শন। নাদ্যপাড়। একরোখা স্তব। 


সহসা মিলিয়ে গেলো শব প্রতিলেখ। ওই ওই শব্দধ্বনি। দৃশ্যচেতনা। একক দশক শতক সহস্র অজুত লক্ষ নিযুত ও সংখ্যাহীন বিমর্ষতা।   


সম্ভাব্যতা খুঁড়ে দেখার পর প্রত্নতত্ত্ব। টোল খাওয়া আয়নার সামনে দাঁড়ানো কবন্ধ। তরল পাত্রে রাখা পরিণত নিষেধ। প্রাচীন হরফ বোঝা কি অতই সহজ? 


বিপর্যয়ের দিনে নগ্ন হলেও বা। প্রতিবেশী না এসে পারে? বোঝালাম --- মুহূর্তগুলি কেন এক থেকে শূন্যের দিকে যাওয়া মধ্যবর্তী ক্রিয়াপদ। 


ঘুড়ির নিরুদ্দেশ যাত্রা নিয়ে উপন্যাস লিখছে বিজয়।


Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন