ধরো এমন একটা ঘর দিলাম

সবর্না চট্টোপাধ্যায় 

ধরো এমন একটা ঘর দিলাম যেখানে

দেওয়ালে টাঙানো শুধু আয়না।

মাঝে একা দাঁড়িয়ে আছো তুমি,

তুমি কি দেখতে পাবে তোমার ভেতরে কটা মানুষ আজো

বেঁচে আছে?

শুনতে পাবে তাদের কান্না?

নাকি নিজের মেজাজ, রঙ আর চাকচিক্য দেখে

হেসে বলবে, তোমার হাতের মুঠোয় সমস্ত আত্মবিশ্বাস!

একবারো কি মনে হবে, তুমিও অন্যায় করেছ চরম...

উজার করা দিন, নিঃস্ব হওয়া রাতগুলোর ভেতর

যে দীর্ঘশ্বাস চাপা দিয়ে গেছো নিজে হাতে, 

কতবার তার কাছে ক্ষমা চেয়েছ দুপাড় ভাঙা এক 

অসহায় নদীর মতো?

ধরো, আয়না গুলো দেখিয়ে দিল, সেসব কালসিটে, 

রঙীন আলোয় যাদের চাপা দিয়েছ সযত্নে,

তারপর?

তারপরও কি অস্বীকার করবে তুমিও কারো মৃত্যুর জন্য দায়ী?

একটা বদ্ধ ঘর। চারটে দেওয়াল শুধু আয়নায় ঢাকা

এক একটা আয়নায় তোমার একএকটা ছবি।

কোনটা নরম কোনটা কঠিন কোনটা কালো কোনটা সাদা

শুধু আমি একা, যে তোমাকে নগ্ন হতে দেখেছি 

দিনের আলোয়

অন্ধকারে

ঝড়ে কিংবা এক নির্জন দুপুরে...

যতটা কাছে এসেছি শুধু পুড়ে গেছি আবার

আর তুমি ভেবে নিয়েছ সেসব আমার পাওনা ছিল।

অথচ দেখো, সে আগুনে পোড়া ছাই তোমার চোখে 

আজও কড়কড় করে….

মৃত মানুষের গন্ধ পাও

আর প্রতিটা আয়নার দিকে তাকিয়ে ভাবো, কেন?  কেন? কেন? 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন