নারকীয় গুরুচণ্ডালী
রথীন বন্দ্যোপাধ্যায়
.....অতঃপর গরাদের ভিতরে যে ঝাপসা আলো থাকে যাকে ঠিক অন্ধকারও বলা যায় না এমনকি আভিধানিক ভয়ও নয় অনেকটা যেন শ্যাওলার মতন স্যাঁতস্যাঁতে কষ্ট আর কিছুটা রক্ত ঘাম বীর্য মাখামাখি জীবন যাকে ঠিক জীবনও বলা যায় না অনেকটা যেন ক্লেদময় রাত্রি যার শেষ প্রান্তে কোনও সূর্যোদয় নেই এবং যেখান থেকে অমোঘ নির্দেশ আসে কয়েকটা ঘুমের ট্যাবলেট খেয়ে নে রে ভাল মানুষের পো তারপর দেখছি কে যেন ছিটিয়ে দিচ্ছে সুগন্ধি গোলাপ জল ঠিক গোলাপ জলও নয় প্রকৃতপক্ষে যেন ছড়িয়ে দিচ্ছে আমারই দুইশত ছয়খানি হাড়ের টুকরো আমার যৌনতার মতন গভীরতম নীল খাদের গহ্বরে অনিবার্য পদস্খলন উপেক্ষার কোনও সুযোগই নেই আর সেই সুযোগেই
সমস্ত ভালবাসাগুলো যেন যাবতীয় ভয় এবং চলেও যাচ্ছে ফ্যাকাশে ভয়ের দিকে সহাবস্থানে রহিয়াছে সচরাচর যাহাদিগকে আপনারা প্রেম বলিয়া উল্লেখ করিয়া থাকেন তাহাদেরই সহিত স্বীয় পতনোন্মুখ ভাঙাচোরা বিরহগীতি যে স্থান হইতে সেই নরকের দূত খাবলে নিয়েছে সুর তাল লয় ভিবজিওর-এর সাতটি রঙ এখানে বড্ড কালো ঘোরতর অমাবস্যার মতন আ্যপ্রিশিয়েশান ওয়েলকাম সেলিব্রেশান ক্ল্যাপিংস এই সবকটি শব্দেরই সমার্থক শব্দ সেই প্রাচীনতম ভয় অথচ ঠিক ভয় নয় তবুও ভয়ানক এই মুহুর্তে সিগারেটের খুব প্রয়োজন সঙ্গে ম্যাচিস বক্স অর্থাৎ আগুন যার আলো দিয়ে আমি সিগারেট ধরাব যে আগুনের আলোয় পুড়তে পুড়তে আজ এই নরকে এসে ধীরে ঢুকে পড়ছি চওড়া ঘুমের ভিতরে সাজানো রয়েছে ঘুমের ট্যাবলেট অসংখ্য নিদ্রাহীন রাত্রি পেরিয়ে এসেছি আপনাদের টপফ্লোরের রঙীন রাজত্ব হইতে চূড়ান্ত ট্রাকিকার্ডিয়া হইতে দুরন্ত পালস্ রেট হইতে তথাকথিত জীবিতদের থেকে বহুদূরে ঠিক বহুদূরও নয় অনেকটা যেন বহুদূর নীচে যতটা নামা যায় আরও....
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন