কবিতা
রুদ্র কিংশুক

অন্ধকার হয়ে আসে হৃদপিন্ডের ভেতর কোথাও বজ্রপাত হলে তড়িতাহত তালগাছের গল্পের ভেতর ডেকে উঠল কালো বিড়াল আমি গাছের তলায় বসে এসব যখন ভাবছি তখন দিনার শাহি ফকিরের ঘোড়ার গলা থেকে নেমে আসছে আকাশ তার নীলিমা কাঁথা স্টিচের ছায়া কম্পমান দিঘির উপর এমন ভাবে পড়ছে যেন জন্মান্তরের উল্টানো আকাশ আয়নার মত ডুবে আছে শব্দব্রহ্ম কিনা ভাবছি ভাবনার ভেতরে কাঁঠালের হলুদ পাতা আমি একটা অবলম্বন খুঁজে খুঁজে অবশেষে এই পিরের ঘোড়ার খুরের নিচে  ভাবছি সে যখন হেঁটে যাবে তখন তার ধ্বনির ভেতরে আমি খু়ঁজে পাব সেই বীজমন্ত্র যা ধ্বনি ভেঙে-ভেঙে উত্থিত কোথাও মৃগনাভির গন্ধের মতো কবিতা বেজে উঠছে তার ধ্বনির ও শ্রবণে শরীর শিহরিত  তার ইপ্সিত নির্মাণের প্রকল্পে শব্দ খুঁজি মাটি পাই জল পাই তৃণ পাই কোথাও ভেঙে পড়ছে পরিকল্পিত নির্মাণ অনিশ্চিয়তার ভিতর জেগে উঠছে অক্ষর রচিত আলো আমি তাকে বিরহ বলে ডাকি 

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন