সোমের প্রতি তারারা এখন
বিশ্বজিৎ দাস
৫.
কত স্নিগ্ধ ওই সম্বোধন, ম্যাম
না না ম্যাম বলে ডেকো না তুমি
সোনা ডাকবে আমায়! আশ্রমের কলিংবেলে
এখনো তোমারই স্পর্শ আছে জেনে
তোমার স্যারকে বলেছি, স্রোতের মুখে
আমি নামহারা তরী; বেঁধে রেখো না আমায়
ওগো, প্রাণনাথ গুরুর সামনে পা ধরো
আমার লাজুক নূপুরের ঘুম ভেঙে যায়
জেগে ওঠে এক্সট্রা টাইমের ঘুমন্ত পার্টগুলি!
৬.
আশ্রমে মন থাকে না! কখনো জানতে চায়নি
কত অসাড়তা বেঁধেছে বাসা মাকড়সার জালে
শুধু সাধনা, শুধু দুধসাদা দূরত্বে রয়ে গেছি
রাতের পরশে নেই নিবিড়তা
এসব কথা তোমাকে কেন বলি?
কেন বারবার নেমে আসে এই অন্তর্ঘাত?
তোমার স্যারওতো দেয়নি ব্যথা;
মানি প্রবলেম নেই
তবু কোন আইসক্রিম দিলে মুখে
শরীর জুড়িয়ে গেল! এল প্রেম শীতলতা...
৭.
গুরুর প্রিয় ছাত্র তুমি। আমারও প্রিয়
এই অবসরে আমাদের বাক্যহীন মাংস বিনিময়
যেন সেইদিন, সেই বেলফুলের মালা
হাত ও খোঁপায় বসে বসে অপেক্ষায় ছিল
আজ তার শাপমুক্ত হাসি; খুলেছে চুলের বাঁধন
আত্মহারা এই পাখিদের নিষিদ্ধ চোখ আর
পাতার ফাঁকে ফাঁকে প্রিয় এসেছে রোদের রিং
চলো দুজনাতে যাই আইনক্সে দেখি কবির সিং!
৮.
ইদানিং বমি আসে ঘন ঘন। যতটুকু বুঝেছি
জেনেও চুপ আছেন তিনি; সিংটম সেরকমই!
হয়তো ক্ষমা করে দিয়েছেন কিংবা জ্বলছে
তাজমহল এবং সেই আগুনে লিখছেন
জগতের এক বিরল ইচ্ছেহীন বোবাকাহিনী...
মাইলাভ তুমি আর এসো না আলো নিয়ে
রাতে, রাতের কাছে এই মায়াশূন্য চোরকাঁটা
রেখেছি হৃদয়ে, এসো না আর কখনো...
৯.
না কোনো তিক্ততা নয়, তোমার গুরুর মুখে
এখন শুধুই লালন; সেবা করে কর্তব্যবোধে
জানি না তাঁর ক্ষত ঘুমিয়ে কিনা?
লোকে বলে,
তোমার কলঙ্কের তিল জ্যোৎস্না; আমার গালে!
ব্রহ্মা থেকে শুরু করে
অনেকেই যাঁরা সুযোগে ছিল
আমার বিচার হবে এই আশায়
তাঁরা খুব পেয়েছে শক; শোকাহত স্বর্গময়!
১০.
বাবু, এ জীবনে কি চেয়েছি, কি ছিল
পরতে পরতে, নিয়তির পুতুল আমরা
আশাকরি জেনেছ আমার উপলব্ধি
বউমানুষ আমি,
ভালো যদি বেসে থাকো, যত দূরে থাকি
গর্ভের জড়ানো স্মৃতি তোমারও
চির অদৃশ্য হয়েও স্পর্শের সম্মান তুমি
রাখবে; হ্রদের ওই নীল ঠান্ডা জলে...
এই মন্তব্যটি লেখক দ্বারা সরানো হয়েছে।
উত্তরমুছুনএকটি মন্তব্য পোস্ট করুন