লকডাউন-আনলকডাউন এবং একটা জন্মদিন
মুরারি সিংহ
প্রচৌকে নিয়ে জন্মদিনের কবিতা লিখতে বসেছি
নীলপাজামা এবং কৃষ্ণচূড়ার পথচলাটিকেও
একবার আড়চোখে দেখে নিলাম
এখন দেখা যাক, জ্যৈষ্ঠ্-সংক্রান্তির মধ্যে ফুটো-নৌকার মাধুকরী-বৃত্তি
কত খানি উথলে উঠছে
এনডেমিক-পর্বে এই লোনা শহরের জলস্তর কমে যাচ্ছে কিনা জানি না
তবে এই সেইদিনও জেনেছি
কপা-দপ্তরের বাইরে খুলে রাখা জুতোগুলো খুব মেধাবী ও মননশীল
লকডাউনের লকাপে বসে, অনেকেই হয়ত ঠাউর করেছে
একটা মনের মতো জানলা পেলে
দিব্যি নিপাতনে আধ-সিদ্ধ সন্ন্যাসী হওয়া যায়
আন-লকডাউন শুরু হতে এখন কি তবে মুখে মাস্ক এঁটে
হাটকেষ্টনগরের রাত এসে কড়া নাড়বে পটলডাঙার দরজায়
জানি না ভাই, কিছুই জানি না,
এ এমনই এক ডাঁটা-চচ্চড়ির হাঁকডাক
এখন তো গোপন-ঝোলাতে পূর্বজন্মটিকে ভরে নিয়ে
কার্টুনের ছবির মতোই হেঁটে চলেছি
হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের ইতিকথার দিকে
ফিজিক্যাল-ডিসট্যান্সিংযের রীতিনীতি মেনে
ভাঙাহাঁটুর তত্ত্বকথা থেকে দূরে বসে ভাবছি,
যদি হলুদ-পালকের গল্পে কানা-বেগুনের দরদাম ঢুকিয়ে দিই
তাহলে কি মৃত্যুভয় কিছুটা কমবে
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন