বৃষ্টি নামের অপারেশন ঘর
নিমাই জানা

রুদ্রকে ছবি আঁকতে মানা করছে না মৃত্তিকা , আসলে ছবির ভেতর বেঁচে থাকার রক্তগুলো বয়ে যায় মন খারাপের দিনে ।
কিন্তু মন খারাপ কেন ? গাছ তো এখনো বেঁচে আছে ? আতা গাছের ডাল শুকিয়ে গেলেও এখনো দাঁড়িয়ে আছে অর্ধেকটা ভেঙে যাওয়ার পর  । আমি বড় ছবি আঁকতে ভয় পাই  যদি ছবি রং আমার মুখে ছিটকে এসে পড়ে তাহলে সে দাগ তোলার নয় , রক্ত কে বড় ভয় আমার । এইভাবে আরতি পিসির ওভারী ফুলতে ফুলতে কখন যেন স্টেজ পরিবর্তন করে ফেলেছে । রোগগ্রস্ত । আহারে। অনিদ্রায়।
ডাক্তার বলেছেন  এ সময় এড়িয়ে থাকাই ভালো কয়েকদিন । সল্টলেকের রাস্তা ধরে হাঁটা চেরিং ক্রস নার্সিংহোম নার্সদের কথা মনে পড়ছে বেশ, প্রেসক্রিপশন এর পেছনে আঁকিবুকি ওষুধের হিসাব , বিধবা নারী ,শিশু মুখ , নাটক
খোলা চেয়ার , স্যালাইন বোতল অনেক কিছুই মনে হল । দুপায়ে ভর করে দাঁড়াবার সময় সূর্য থেমে গেল মাথার উপর । আমি এদের কেমন দুহাতে বিছিয়ে দিচ্ছি সুভাষ পার্ক এর ধারে । ব্রেন খুলে যারা করোটি কে ঢুকিয়ে দেয় অন্য কোন মাংসের ভেতর
তাদের পেছনে পেছনে চলে যাচ্ছি একতলায়, দোতলার অপারেশন ঘরে।
বাইরে বৃষ্টি হয়ে যাচ্ছে ক্ল্যামাইডোমোনাস এর উপর

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন