অগোচরে আরপ্তকথা 
সমরেন্দ্র রায়
(এক)
হঠাৎ ঠাণ্ডা হাওয়ায় শরীর জুড়োয়। মনে হয় আজ আর কোথাও কোনো দূষণ নেই। শত শত পরিজন সকলেই স্পর্ধিত আকাশ ছোঁয়,সবুজে সবুজ। মিশে যায় জনান্তিকে। এভাবেই চিন্তার অগোচরে ভেসে ওঠে অনন্ত কৈফিয়ত্, কৈফিয়ত্ একাংশও হতে পারে অথবা কেন এমন স্বর্গ বাচাল হয়। 

কতদিন আগে জাপানের সেই ছোট্টো মেয়েটি ভয়ানক যুদ্ধগন্ধ মেখে স্বর্গীয় বনে যায়। আজও মানুষের মুখে মুখে রোমাঞ্চের গপ্প, নয়তো বা মনে করায় ওই মর্মবেদনার অযাচিত বিলাসযাপনের কথা। 

এখন থেকে প্রান্তিক বালকের হাত ধরতে হবে। কেননা বারুদের গন্ধ বেরোবার আগেই কোনো মারণ গর্ভে লাশপোকাদের আবাস করে নেবার আগেই সুদূরপ্রসারী ব্যথাতুর চোখে আবরণ ঢেলে ঢেকে দিতে হবে। তা না হলে স্মারকস্তম্ভের জন্য একটি ভাঁড়ার ঘরের প্রয়োজন। যদিও, স্মারকস্তম্ভ আনন্দ -খোরাক তৈরি করে। যেটা অজান্তেই গ্রথিত অসময়ের নাগরিক খোলস।

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন