নামহীন চেনা
আমিনুল ইসলাম

এভাবেই আত্মগোপন থাকা যায় সূর্যের ভ্রুপল্লবে।
যদিও বাতাস বড়োই দোলাচল লিপিহীন তার ভাষা।
চেষ্টা করি শরীর দিয়ে কিছুটা আঁচ নেওয়ার।
চোখেও কিছু মাছরাঙা খেলে। সব দৃশ্যই ছবি হয়
আর আয়না যা দেখে, মূহুর্তেই দেখে, মনে রাখে না।
কিছু অন্ধকার চেনা, যেমন বাবা চলে যাওয়ার পর,
আর মা যখন গেলেন বাবাকে খুঁজতে। পুকুর, ডোবা,
সব-জলাশয় টইটই। ঠিক এমনই কেউ কেউ চলে
গেলে কিছু অন্ধকার অনুভব। মাছারাঙা বোঝে,
কখন কীভাবে ঝাঁপ দিয়ে তুলে নিতে হয় প্রাণ।
অনেক অধ্যাবসায়ে হৃদয়ঙ্গম হয়নি তার মতো
একবার, নিপুণ কৌশল। এসব অকর্মণ্যতা নিয়েই
অহং, আমার আশপাশ - খড়ের ছাউনি, মাটির ঘর,
নিম বাতাস, চন্দ্র মল্লিকা, চড়ুই পাখি আরও অনেক
চেনা জানা অচেনা ফুলের তেজস্ক্রিয় সংসার।
এগুলোই দ্বীপ জ্বেলে, গহিন আঁধার আর সব অশনি
সংকেত সামলে রাখে। শরীর মানেই গাছ। সব গাছ
ছাতা ধরেনা মাথায়। যারা ছাতাহীন তারা পুড়তে
চাই, ভিজতে ভালোবাসে। সবই কৌশল,
ফন্দি-ফিকির নিয়ে বেঁচে থাকা, বাঁচতে হয় তাই
বাঁচা, উদ্দেশ্যেহীন তবুতো কিছুই নয়। বানানো পথেই
ফুল-গাছ, গাব-গাছের চারা। অন্যপথ নির্জন
নিহারিকা, সেখানে সব একাকার, পায়ের চিহ্ন নেই
 শুধু। ঐদিকে হয়তো অঢেল আলো কিম্বা
মোমবাতিহীন। অথচ একটি তালগাছ বাঁশবনে
ধ্রুবতারা জ্বালে রোজ, জন্মের আগে এখন ও তখন।
নামহীন মানেই অচেনা কিছু, শরীরহীন-পোশাক।
নয়তো নাম, উপনাম পদবী ছাড়াই আরো কিছুটা
সময় পুরিয়া খুলে, উন্মুখ চরাচরে গন্ধহীন বর্ণহীন...

Post a Comment

নবীনতর পূর্বতন