জন্মদ্বয়, জন্মদায়
বিভাবসু

ক. নটরাজপর্ব

পরিকল্পনাহীন গাছের কাছে
তুমি আশ্চর্য শব্দঝড় রেখে আসো
তাতে হামেশাই পাখিদের কিচিরমিচির লেগে থাকে

অথবা দানবেরা পৃথিবীশাসনের ফতোয়া জারি করে
একটা পাখির ডানায় তুমি হলদেটে অনুশাসন লিখে রাখো
তাতে তোমার জন্মান্তরের অবসাদ লেখা থাকে
তুমি ভাসতে ভালোবাসো
তাই শব্দের অনুলােমে মিশিয়ে দাও রহস্যঘন অনুকম্পা

হে মুহূর্ত, তুমি পথিক ছিলে না, পাথেয় ছিলে

আজ শব্দেরা অনুশাসন ভুলে গেছে দিগ্বিদিক ছুটে গেছে অশ্বমেধের ঘোড়ারা আমি কি এখন একটা ঘুমন্ত আগ্নেয়গিরির কাছে
ঝর্নাধারা চাইতে পারি!


খ. ঐশ্বর্যপর্ব

এই বিশদ ক্ষমতাবলে
এই তনু তনু দেহ
এই উচ্ছ্বলতা ভেঙে পড়ে করুণ ঐশ্বর্যের কাছে

তাহলে তুমি এক প্লাবনগাথা
তুমি এক সমূহসংকট
তোমাকে কুড়িয়ে-বাড়িয়ে আমার এই পথ চলা
এই গভীরতা যাপন

সময় হাটি হাটি পায়ে পেরিয়ে যায় নিজেকেই,
দিনান্তে শূন্যতার ঘূর্ণি
যেনবা, সন্ধ্যার কিছু অলৌকিকতা আছে
হেতু তাই
শুধু পথচলা

একটা গল্প শেষ হলে মাথার ভেতরে
আর একটা গল্পের দেশ দিব্যি ঢুকে পড়ে
তুমি তো আছো স্বপ্নে,
মশগুল গল্পে
ছলনাজালে
তুমি তো আছো অলিগলি
সন্ধ্যিতে সন্ধ্যিতে, মেঘের সাথে

আড়ম্বরপ্রিয় আত্মা
খুব নির্ভুলভাবে জ্বালিয়ে রেখেছো
প্রেম
অথবা বিকার

1 মন্তব্যসমূহ

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন