রসায়নাগার
-অভিজিৎ দাসকর্মকার
বেরিয়ে এসো ত্রিবেণী, নীলাভ দৃষ্টি ভিজিয়ে__
পাখি উড়ুক ভেসে যাওয়া পথে__
সাংঘাতিক স্বপ্নের দাগ মিলিয়ে যাবে
এস্রাজের সুরে,নয়তো বা
প্রথম কদম ফুল-এর নায়িকার হাসিতে!
তখনও গন্তব্যের অবয়বে প্রত্নবালিকা বলতে আমি ছাপোষা গড়নের মেয়েটিকেই চিনি,
আজও চতুষ্পর্ণী নগ্নবুক নিয়ে__
শব্দনাচ করে কালবৈশাখীর বিকেল;
সামিয়ানা খাঁচাও_
আমার মন তোমার রসায়নাগার
কেউ নেই এসো বিলীয়মান হয়ে যাই
মুখের আলোটা নিভিয়ে নাও আমার বুকের উপর লোমকূপ অনেকটাই সতেজ...
সেই চোখের সম্মোহনে
অভিজিৎ দাসকর্মকার
ফোল্ডারেই রেখেছি
পুরাঘটিত আলাপচারিতা গুলো__
অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদের চোরকুঠুরিতে ঘুমিয়েছি-
নিজেকে ইতিহাসের উপযুক্ত করতে গিয়ে তথ্যের বিশ্বাসও ভেঙেছি__
আমি আচ্ছন্ন,সেই হলুদ রঙের চিহ্নিতকরণে।
আমি লৌকিক দায়বদ্ধতায় অসুদ্ধ অহংকার
আর
নিজের কেন্দ্রবিন্দুতে চাঁদের মৃত্যু রেখেছি---
নাম দিলাম অন্ধকার...
নিস্তরঙ্গ ভাবে নদীর বর্তমানের কাঞ্চনবর্ণে
আগামীকাল গুলোকে বিজারিত করেছি---
আর
গতকাল সেই চোখের সম্মোহনে
ঘটমান বর্তমানের পুঙক্তিগুলোর পুনর্বাসন দিয়েছি...
চিত্রকল্পের উচ্চারণ
-অভিজিৎ দাসকর্মকার
রবির দেহজ ফসলে বেগুনী রশ্মির ছায়াপথ,
অনুবাদ করো চিত্রকল্পের উচ্চারণ ভঙ্গি...
আঙুলের ফাঁকে হাসি চাপে অপ্রত্যাশিত ভাগ্যরেখা ।
লাল রঙের সংসারে আজ বিবর্তনের উল্লাস
আষ্টেপৃষ্টে উদ্ভাসিন নদী---
তারই,
অনুকুলে প্রবহমান আশ্চর্য এক নীল আহ্লাদ
শরীরে কেয়া ফুল ছুটছে ধর্মনিরপেক্ষ ভাবে
গনতন্ত্রের কণিকায় প্যারাসাইটস্-দের কুঞ্জপথ-
সর্বভুক-শব্দ দিয়ে তৈরী হয়েছে জলপ্রপাত
তার পাশে শুয়ে আছে নিরক্ষরতায় অভ্যস্থ জনৈক জ্যোৎস্নাটি...
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন