শূন্য
নীপবীথি ভৌমিক
কেন এতো একা ভাবো বলতো নিজেকে!
জানি,তুমি একা
কিংবা সেও কোনো একাকীত্বের ভাষা,
হয়তো আমি বা আমরাও...
বলতেই পারো তুমি,আমি তো
অযুত আমির অবিশ্লেষিত বিন্যাস,
অসংখ্য আমি নিয়েই আমার জন্মগান।
তবু, ভেবে দেখো
আমি কি কোনো শূন্যতার ডাক নয়!
কে আমি--কী বা আমিত্বের বিকাশ--
আসলে,সবই শূন্যমায়া রঙ
এই আকাশ নীলের গায়ে আদর আবেশ হয়ে জড়িয়ে থাকা অসংখ্য নীল,ঠিক যেমন করে শূন্যরেখার স্বপ্ন!
---শূন্যই যে পূর্ণ
পূর্ণতাই আবার সেই প্রেম।
তাই,আমি কেউ নই,
সবটুকুই শুধু একা আর একলা থাকার নীরব খেলা।
দর্পণ
নীপবীথি ভৌমিক
হ্যাঁ, এরই নাম দর্পণ। ছায়ার সাথে যেখানে সাক্ষাৎ মিলন ঘটে আমি ও আমার...
অথবা, তুমি ও তোমার !
আয়নার গায়ে কী অসংখ্য স্বপ্ন জমা থাকে দ্যাখো _
আলোর কাছে আঁধার চেয়ে চেয়ে আমরাই
আলো সাজিয়ে দিই আবার স্বহস্তে ।
দোলাচলের জীবন এভাবেই কখন যে মিলেমিশে
একাকার হয়ে যায় দর্পণের নিষ্ঠুর অণুকণার হাতে...
আসলে, আয়না বড় সত্য। ঠিক যতটাই মিথ্যা প্রতিবিম্ব ।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন